বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অধিকতর তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করার চিন্তাভাবনা করছেন আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির আইনজীবীরা। ইতিমধ্যে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এদিকে গতকাল রবিবার সকালে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম আমিনউদ্দিনের সঙ্গে দেখা করেছেন মিন্নি ও তার পিতা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর। এ সময় তারা মামলার এজাহার, অভিযোগপত্র, আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিসহ অন্যান্য নথি আইনজীবীদের কাছে হস্তান্তর করেন। এ দুই আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে মিন্নির পক্ষে জামিন শুনানি করেন।
অধিকতর তদন্ত প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না ইত্তেফাককে বলেন, পুলিশ রিফাত হত্যা মামলার মূল আসামিদের রক্ষা করতেই মিন্নিকে আসামি করেছে। যেখানে মিন্নিই ছিল এই মামলার প্রধান সাক্ষী, সেই সাক্ষীকে আসামি করে মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ইচ্ছা করে পুলিশ এ কাজ করেছে। তিনি বলেন, রিফাতকে কোপানো ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ঘটনার তিনটি ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। এই তিনটি ভিডিও ফুটেজকে মামলার জব্দকৃত আলামত হিসেবে না দেখিয়ে পুলিশ তাদের মনমতো একটি ভিডিওকে আলামত হিসেবে দেখিয়েছে, যা গুরুতর অন্যায়। এছাড়া যে রিকশায় করে রিফাতকে হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং যিনি হাসপাতালের ভেতর থেকে স্ট্রেচার নিয়ে এসেছিলেন, তাকেও এই মামলার সাক্ষী করা হয়নি। একটি মামলার ন্যায়বিচার বিঘ্নিতের জন্য এতটুকুই যথেষ্ট। জেড আই খান পান্না বলেন, ‘মামলাটির অধিকতর বা সঠিকভাবে পুনঃতদন্তের জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছি। মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করছি। নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’