বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

পুঁজিবাজারে তারল্য বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগ

আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২২:১৬

পুঁজিবাজারে তারল্যপ্রবাহ বাড়াতে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এজন্য নীতিমালা সহজ করা হয়েছে। গতকাল রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর নিজস্ব পোর্টফোলিওতে সরাসরি বিনিয়োগ অথবা সাবসিডিয়ারি কোম্পানিতে ঋণ দেওয়ার মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তারল্য বাড়ানোর বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে ৯টি শর্ত পরিপালন করতে বলা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমানে অধিকাংশ ব্যাংকে অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে। এসব ব্যাংকের জন্য আইনি সীমার মধ্যে থেকে পুঁজিবাজারে মৌলভিত্তিক ইনস্ট্রুমেন্টে বিনিয়োগের যথেষ্ট সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে। ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত তারল্য থেকে            ট্রেজারি বন্ড বা বিল রেপোর মাধ্যমে এই তারল্যসুবিধা গ্রহণ করতে হবে। উল্লেখ্য, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো রিজার্ভ থেকে যে সুদে স্বল্পমেয়াদি ঋণ নেয় তাকে বলে রেপো রেট। ব্যাংকগুলোকে যে ৯টি শর্ত পরিপালন করতে বলা হয়েছে, সেগুলো হলো সুবিধা গ্রহণেচ্ছুক ব্যাংকগুলোকে তারল্যসুবিধা গ্রহণের পরও নির্ধারিত বিনিয়োগসীমা পরিপালন করতে হবে। এই সুবিধার অধীনে প্রাপ্ত তারল্য শুধু ব্যাংকের নিজস্ব পোর্টফোলিওতে সরাসরি বিনিয়োগ অথবা সাবসিডিয়ারি কোম্পানির নিজস্ব পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট সাবসিডিয়ারি কোম্পানিকে ঋণ হিসেবে দেওয়া যাবে। প্রাপ্ত তারল্য ব্যাংকের নিজস্ব পোর্টফোলিওতে বা সাবসিডিয়ারি কোম্পানির নিজস্ব পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগের জন্য নতুনভাবে পৃথক বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ট্রেজারি বন্ড বা বিলের রেপো মূল্যের ৫ শতাংশ মার্জিন হিসেবে রেখে তারল্যসুবিধা দিতে হবে। নগদে রেপোর অর্থ পরিশোধে ব্যর্থতার ক্ষেত্রে মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখে সংশ্লিষ্ট সিকিউরিটিজের বাজারমূল্য আদায়যোগ্য অর্থ অপেক্ষা কম হলে তা ইতিপূর্বে গৃহীত মার্জিন থেকে সমন্বয় করা হবে। সমন্বয়ের জন্য অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হলে ব্যাংক তা দিতে বাধ্য থাকবে। প্রাথমিকভাবে রেপোর মেয়াদ ২৮ দিন হলেও তহবিল ব্যবহারের সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে তা সর্বোচ্চ ছয় মাস পর্যন্ত ঘূর্ণায়মান রাখা যাবে। এ ধরনের রেপোর জন্য কোনো নিলামের প্রয়োজন হবে না। আর সুদের হার হবে ৬ শতাংশ।