কুষ্টিয়ার দৌলতপুর হাসপাতালের এক পিয়ন সার্জন সেজে বিভিন্ন ক্লিনিকে রোগীদের অপারেশন করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দীর্ঘদিন ধরে সার্জন হিসেবে অপারেশন করে আসলেও কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে, এলাকাবাসী ও সচেতনমহল বিষয়টি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ক্লিনিক মালিকদের সঙ্গে যোগসাজশ করে দৌলতপুর হাসপাতালের পিয়ন জিহাদ সার্জন হিসেবে অপারেশন করে আসছিলেন। গত রবিবার উপজেলার গড়ুরা পালপাড়া গ্রামের আরশেদ আলীর প্রসূতি কন্যা কহিনুর (৩০) প্রসব ব্যথা নিয়ে পার্শ্ববর্তী প্রাগপুর বাজারের আল্লারদান ক্লিনিকে ভর্তি হন। ঐ দিনই ক্লিনিক মালিক পাপিয়া জিহাদকে ডেকে নিয়ে কহিনুরের সিজারিয়ান অপারেশন করান। এরপর কহিনুরের রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় তাকে দ্রুত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিত্সকরা জানান, হাসপাতালে পৌঁছার আগেই সে মারা গেছে। ঘটনার পর থেকে ক্লিনিক মালিক পাপিয়া ও ভুয়া সার্জন জিহাদ গা ঢাকা দিয়েছে।
নিহত গৃহবধূর স্বজনরা জানান, জিহাদ ও ক্লিনিক মালিক পাপিয়া গোপনে ৫ লাখ টাকা দিয়ে মীমাংসার চেষ্টা চালাচ্ছেন। স্থানীয়রা জানান, জিহাদ নিজেকে সার্জন সবুজ নামে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ক্লিনিকে অপারেশন করে আসছিলেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাঃ অরবিন্দ পাল জানান, বিষয়টি জানার পর তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৌলতপুর থানার ওসি আরিফুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে নিহত কোহিনুরের পিতা আরশেদ আলী বাদী হয়ে জিহাদ ও ক্লিনিক মালিক পাপিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।