শোকে মূহ্যমান নিহত ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুন বুকফাটা কান্না আর আহাজারির মধ্যে বার বার বলছেন, আমার মেধাবী ছেলে আবরার ফাহাদ সব পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে। ১০০ নম্বরের মধ্যে সে সব পরীক্ষায় শতভাগ নম্বর পেয়েছে। বিনয়ী ও শান্ত স্বভাবের মেধাবী ছাত্র ফাহাদের কোনো শত্রু ছিল না। কিন্তু কী কারণে আমার নিরপরাধ ছেলেকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হলো—এ কথা তিনি বারবার উল্লেখ করছিলেন। আমি কিছুই চাই না, তোমরা শুধু আমার ছেলেকে আমার বুকে ফিরিয়ে দাও। এসময় আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয় এবং উপস্থিত সবাই অশ্রুসজল হয়ে পড়ে।
এদিকে আবরার ফাহাদ হত্যার বিচারের দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও বিক্ষোভ মিছিল ও কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেছে। মিছিলটি সড়ক ও টিএসসি প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা ‘শিক্ষা সন্ত্রাস এক সঙ্গে চলে না’ ‘আবরার এখন কবরে, হত্যাকারীরা কেন বাহিরে’ ‘শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস, মানি না মানব না’ আমার ভাই, আবরার হত্যার বিচার চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেয়। হত্যা ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। প্রায় আধাঘণ্টা সড়ক অবরোধের কর্মসূচি পালনের পর তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।