বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

গণভবনে আবরারের বাবা-মা-ভাই

কোনো সান্ত্বনাই আপনাদের কষ্ট কমাতে যথেষ্ট নয় :প্রধানমন্ত্রী

আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০১৯, ২৩:০৬

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার বিচার দ্রুত শেষ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইনমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল সোমবার আবরারের বাবা-মা ও ছোটো ভাই গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে শেখ হাসিনা এ তথ্য জানিয়ে বলেন, কোনো সান্ত্বনাই আপনাদের কষ্ট কমাতে যথেষ্ট নয়। আপনাদের সান্ত্বনা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। স্বজন হারানোর বেদনা   আমি বুঝি। আমিও এক রাতে সব হারিয়েছিলাম। আমি তখন বিচারও পাইনি। আবরারের হত্যাকারীরা অমানুষ হয়ে গেছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। দলের পরিচয় দিয়ে কোনো অপরাধীই রক্ষা পাবে না।’

আবরারের মা রোকেয়া খাতুন প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, আপনি মায়ের আসনে থেকে ঘটনার পর হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে যে কঠোর ভূমিকা নিয়েছেন সেজন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমার নেই। তারা প্রশাসন ও দেশবাসীর প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আবরার হত্যার পর সরকার ত্বরিত ব্যবস্থা নিয়ে খুনিদের গ্রেফতার করেছে। তাদের দ্রুত বিচার হবে।

এর আগে গতকাল বিকাল ৫টার দিকে আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ, মা রোকেয়া খাতুন, ভাই আবরার ফায়াজ সাব্বির, চাচা ও মামা গণভবনে যান। সাক্ষাতের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জড়িয়ে ধরেন আবরার ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুনকে। এ সময় আবরারের মা কান্নায় ভেঙে পড়েন। শেখ হাসিনাও চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে তার পাশের চেয়ারে বসান এবং তাকে সান্ত্বনা দেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের বলেন, আমি ঘটনাটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। ওরা কোন সংগঠনের নেতা নাকি কর্মী তা আমি শুনতেও চাইনি।

সাক্ষাত্কালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান।

অমিত সাহা ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার:এদিকে বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি সংগঠনের তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহাকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল ছাত্রলীগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অমিত সাহা ওই ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথোপকথনের মাধ্যমে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।’