বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

আট মাসে বন্দুকযুদ্ধে ১৮ বনদস্যু নিহত

আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০১৯, ২২:১৩

সুন্দরবনকে আনুষ্ঠানিকভাবে দস্যুমুক্ত ঘোষণার পরও আবারও বনদস্যুদের অপতত্পরতা শুরু হয়েছে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে জলদস্যু আমিনুর বাহিনীর প্রধান আমিনুরসহ চার জলদস্যু নিহত হয়। এ নিয়ে গত আট মাসে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে র্যাব ও কোস্ট গার্ডের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ১৮ বন ও জলদস্যু নিহত হলো। এ সময়ে ২৭টি আগ্নেয়াস্ত্র ও বেশ কিছু গোলাবারুদ উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

কর্মরত জেলেরা বলছেন, সুন্দরবনে আবারও ফিরতে শুরু করেছে বনদস্যুরা। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে—যেসব দস্যু আত্মসমর্পণ করেনি মূলত তারাই ছোটো ছোটো দল তৈরি করে বিচ্ছিন্নভাবে সুন্দরবনে ডাকাতিসহ অপতত্পরতা চালানোর চেষ্টা করছে।      সূত্র জানায়, ২০১৬ সালে সুন্দরবনের বনদস্যুদের আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপর ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর বাগেরহাটের শেখ হেলালউদ্দিন স্টেডিয়ামে হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুন্দরবনকে আনুষ্ঠানিকভাবে দস্যুমুক্ত করার ঘোষণা দেন। এ ঘোষণার পর বেশ কিছুদিন বনজীবীরা নির্ভয়ে সুন্দরবনে জীবিকা নির্বাহের কাজ করতে পেরেছে ।

সূত্র মতে, ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ৩২টি বাহিনীর ৩২৮ জন বনদস্যু-জলদস্যু সরকারের নিকট আত্মসমর্পণ করে। এ সময় তারা ৪৬২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২২ হাজার ৫০৪ রাউন্ড গোলাবারুদ জমা দেন।  তবে সম্প্রতি ছোটো ছোটো কয়েকটি দস্যুবাহিনীর আবির্ভাব ঘটেছে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা, খুলনা ও চাঁদপাই রেঞ্জে।

র্যাবের একটি সূত্র জানায়, মাছ ধরার মৌসুমে জলদস্যুরা রাতে জেলেদের নৌকায় ডাকাতি করার পর সুন্দরবনের সরু খালগুলোতে প্রবেশ করে লুকিয়ে থাকে। তবে সুন্দরবন বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

সুন্দরবনের বন ও জলদস্যুদের আত্মসমর্পণের প্রক্রিয়ায় বিশেষ ভূমিকা পালনকারী মংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের মত্স্য ব্যবসায়ী ও মহাজন মোহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী বলেন, দেখা যাচ্ছে কেউ আত্মসমর্পণ করলেও পরে আবার তার কোনো আত্মীয় ঐ পথে যাচ্ছে। যাদের বেশির ভাগই কর্মহীন।

র্যাব-৬ এর স্পেশাল কোম্পানি কমান্ডার মেজর শামীম সরকার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরও যারা সুন্দরবনে দস্যুতায় নেমেছে তাদেরকে শক্ত হাতে প্রতিহত করা হচ্ছে। নিয়মিত টহলের কারণে তারা সুন্দরবনে দস্যুতা করার দুঃসাহস রাখতে পারছে না। যারা নতুন করে সুন্দরবনকে অশান্ত করার চেষ্টা করবে তাদের কেউ ছাড় পাবে না। সব দিকে আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে।