বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কর মেলায় তরুণ করদাতার আধিক্য

আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০১৯, ২১:৩১

গতকাল থেকে দেশব্যাপী শুরু হয়েছে আয়কর মেলা। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে সপ্তাহব্যাপী এই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এছাড়া জেলা পর্যায়ে চার দিন ও নির্দিষ্ট কিছু উপজেলায় দুই দিন করে মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেইলি রোডের অফিসার্স ক্লাবে আয়কর মেলার উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া, মেলা আয়োজক কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী ও এনবিআর সদস্য কালিপদ হালদারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সরেজমিন মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে প্রথম দিনই করদাতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এর মধ্যে অপেক্ষাকৃত তরুণ করদাতার আধিক্যও চোখে পড়েছে। গত দুই-তিন বছর আগেও মেলায় তরুণ করদাতার উপস্থিতি এত বেশি হারে চোখে পড়ত না। এনবিআরের আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত দুই বছরে চাকরিজীবীদের আয়করের আওতায় আনার ক্ষেত্রে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়। নির্দিষ্ট সীমার চেয়ে বেশি বেতনের কর্মীদের টিআইএন নেওয়া ও আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অন্যথায় প্রতিষ্ঠানের কর্মীর বেতন খাতের ব্যয় অনুমোদন করছে না আয়কর বিভাগ। ফলে বাধ্যতামূলকভাবেই অনেকে ই-টিআইএন নেওয়া তথা করের আওতায় চলে এসেছেন। এর মধ্যে ৪০ বছরের নিচে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক করদাতা রয়েছেন, যাদের এনবিআর তরুণ করদাতা হিসেবে অভিহিত করে। এসব ব্যক্তি মেলায় এসে কর দিচ্ছেন। অবশ্য মেলায় জমা হওয়া রিটার্নের একটি বড়ো অংশই ‘শূন্য’ রিটার্ন। অর্থাত্ এসব ব্যক্তির বার্ষিক আয় করযোগ্য সীমার নিচে।

মেলায় অনলাইনে করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর বা ই-টিআইএন নিবন্ধন, রিটার্ন দাখিলের সুযোগ রয়েছে। মেলা প্রাঙ্গণে অবস্থিত ব্যাংকের বুথে আয়করের অর্থ জমা দেওয়া, কিংবা অনলাইনে কর পরিশোধের সুযোগ রয়েছে। মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সেবার (বিকাশ, রকেট, নগদ, ইউপে ইত্যাদি) মাধ্যমেও কর পরিশোধ করা যাচ্ছে। এছাড়া কর পরিশোধ ব্যবস্থা সহজ করতে নতুন একটি ওয়েবসাইট (aykormela.gov.bd) চালু করা হয়েছে। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আয়করসংক্রান্ত অনেক সেবা পাচ্ছেন করদাতারা।

অবশ্য মোবাইল সেবার মাধ্যমে কর প্রদানের সুবিধা থাকলেও তাতে করদাতাদের প্রত্যাশিত সাড়া মেলেনি বলে জানা গেছে। মেলা প্রাঙ্গণে অবস্থিত বিকাশের একটি বুথে উপস্থিত কর্মী জানিয়েছেন, দুপুর ৩টা পর্যন্ত মাত্র একজন করদাতা তাদের সহযোগিতা নিয়ে মোবাইল সেবার মাধ্যমে কর প্রদান করেছেন। তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন এ পদ্ধতিতে কর পরিশোধের বিষয়ে করদাতাদের মধ্যে এখনো সচেতনতা তৈরি হয়নি। ধীরে ধীরে এ পদ্ধতিতে অভ্যস্ত হয়ে উঠলে করদাতারা আগ্রহী হবেন।