শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অর্থ পাচার!

আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডে খরচ বিষয়ে কড়াকড়ি

আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০১৯, ২১:৩২

আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কার্ড ব্যবহারকারী গ্রাহক এককভাবে কোনো পণ্য বা সেবামূল্যের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০০ ডলার পর্যন্ত পরিশোধের সুযোগ নিতে পারেন। কিন্তু অনলাইনে পণ্য কেনাকাটার নামে এ সুযোগের অপব্যবহার করছে অনেকেই। আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড দিয়ে অবৈধ লেনদেন রোধে গ্রাহকদের জন্য একটি নির্দিষ্ট ফরম পূরণের বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কোন পণ্য ও সেবা কেনা হবে তার বিবরণ ঐ ফরমে উল্লেখ করতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিদেশ থেকে পণ্য ও সেবার বৈধ কেনাকাটায় বিপরীতে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডে ইস্যুকৃত এ ডলার ব্যবহার করা যাবে। বাংলাদেশে উত্পাদিত কোনো পণ্য বা সেবা ক্রয়-বিক্রয়ে এই ডলার ব্যবহার করা যাবে না। এ বিষয়টি কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংকগুলোকে নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষভাবে অবৈধ বিভিন্ন পেমেন্ট যেমন অনলাইনে জুয়া খেলা, বৈদেশিক লেনদেন, বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কেনাবেচা, ক্রিপ্টো কারেন্সি ও লটারির টিকিট কেনার কাজে এ কার্ড ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এতে বলা হয়, এখন থেকে গ্রাহকদের অনলাইন ট্রানজেকশন অথরাইজেশন ফরম বা ওটিএএফ পূরণ করে ব্যাংকগুলোতে জমা দিতে হবে। এরপর ব্যাংক সেটি যাচাই-বাছাই করে কোনো অসঙ্গতি না পেলে গ্রাহকরা ক্রেডিট কার্ডের ঐ ডলার ব্যবহারের অনুমতি পাবে। ক্রয়কালীন লেনদেনের ক্ষেত্রে যদি কর বা শুল্ক প্রযোজ্য হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডধারী ব্যক্তিকে তা পরিশোধ করতে হবে। ২০১৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি এক প্রজ্ঞাপনে আন্তর্জাতিক পণ্য কেনাকাটায় আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড (আইসিসি) ব্যবহারকারী গ্রাহকদের এককভাবে কোনো পণ্য বা সেবামূল্যের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০০ ডলার পর্যন্ত পরিশোধের সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে বছরে তা কোনো অবস্থাতেই ১ হাজার ডলারের বেশি হবে না। বর্তমানে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডধারী ব্যক্তি বিদেশে অবস্থিত খ্যাতিমান ও নির্ভরযোগ্য উত্স থেকে বৈধ পণ্য ও সেবা (যেমন : সফটওয়্যার, ই-বুক ইত্যাদি) কিনতে পারেন।