সেমিনারে বক্তারা
ইত্তেফাক রিপোর্ট
দেশে গত এক দশকে ধারাবাহিকভাবে দারিদ্র্যের হার কমলেও অসমতা বেড়েছে। একই সঙ্গে আঞ্চলিক বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করেছে। দারিদ্র্য বিমোচনে সরকার সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলপত্রের আওতায় প্রতি বছর বরাদ্দ বাড়ালেও তাতে উল্লেখযোগ্য সাফল্য মিলছে না। গতকাল বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভূমিকা নিয়ে আয়োজিত এক জাতীয় সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সামাজিক সুরক্ষা ম্যানেজার ম্যারিয়ান এন ছারুচি। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের পরিচালক চন্দন জেড গোমেজ।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সরকারের নেওয়া নানা কর্মসূচির কারণে দেশে দারিদ্র্যের হার কমছে। তবে বৈষম্য চোখে পড়ার মতো। বৈষম্য বাড়ছে। বৈষম্য কমানোর দিকে সরকারের নজর আছে বলে জানান তিনি। ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, সরকারের একার পক্ষে সবকিছু করা সম্ভব নয়। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন করতে হলে কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে উন্নয়ন কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়রের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক আসিফ শাহান বলেন, দেশে দারিদ্র্য কমলেও অসমতার পাশাপাশি আঞ্চলিক বৈষম্য বাড়ছে। তিনি বলেন, যে কোনো কর্মসূচির উপকারভোগী নির্বাচন, পরিবীক্ষণ ও জবাবদিহিতার প্রক্রিয়ায় জন-অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ বলেন, দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত প্রকৃত মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে উন্নীত হতে হলে সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।