ইত্তেফাক রিপোর্ট
চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশ্ববাজারে অংশগ্রহণ বাড়াতে নতুন বিনিয়োগ পেয়েছে ওয়ালটন। জার্মান বিনিয়োগ এবং উন্নয়ন সংস্থা (ডিইজি) নতুন করে ওয়ালটনে ২০ মিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। এ অর্থ ওয়ালটনের কারখানার সম্প্রসারণ, আধুনিকায়ন, গবেষণা ও পণ্যের মান উন্নয়নে ব্যয় করা হবে।
জানা গেছে, এর আগে প্রতিষ্ঠানটি ওয়ালটনের বিভিন্ন প্রকল্পে দুই দফায় আরো ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২৩ মিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ করেছিল। জার্মান এ বিনিয়োগ বাংলাদেশের বেসরকারি শিল্পখাতকে সমৃদ্ধ করবে। এর ফলে দেশীয় প্রযুক্তিপণ্য উত্পাদন শিল্প এবং এসব পণ্যের বিশ্বব্যাপী বাজারজাতকরণ কার্যক্রম গতিশীল হবে। যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এ উপলক্ষ্যে সম্প্রতি জার্মানির ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের হেড অব ডিভিশন (কেএফডব্লিউ অ্যান্ড ডিইজি) লারস নিডার বাংলাদেশ সফর করেছেন। তার সঙ্গে ছিলেন জার্মানির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন উন্নয়ন ব্যাংক কেএফডব্লিউ-ডিইজির ঢাকা কার্যালয়ের ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজার ফাইয়াজ হোসেন।
গত ৫ ডিসেম্বর গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শনকালে তাদের স্বাগত জানান ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম। সেসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের সিএফও আবুল বাশার হাওলাদার, রেফ্রিজারেটর বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুর্শেদ, টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার ইতসুরু সুজুকি, চিফ টেকনিক্যাল অফিসার ইয়োন মং ইয়াং, গ্লোবাল আরঅ্যান্ডডি প্রধান তাপস কুমার মজুমদার, চিফ কো-অর্ডিনেটর আলমগীর আলম সরকার, ডেপুটি চিফ কো-অর্ডিনেটর ইউসুফ আলী প্রমুখ। জার্মান প্রতিনিধিদলটি ওয়ালটন কারখানায় বিভিন্ন পণ্যের উত্পাদন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করেন। সে সময় ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য উত্পাদনে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করেন তারা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার ব্র্যান্ড হুন্দাই এবং ভারতের রিলায়েন্সের সঙ্গে চুক্তি করেছে ওয়ালটন। এর ফলে প্রতিষ্ঠান দুইটিতে বিপুল পরিমাণ পণ্য সরবরাহ করবে ওয়ালটন। এছাড়া বিশ্বের শীর্ষ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজনের মাধ্যমে উত্তর আমেরিকায় যাচ্ছে বাংলাদেশে তৈরি ওয়ালটন পণ্য।