বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত গার্মেন্ট ও টেক্সাইল, রেমিটেন্স ও কৃষি খাতের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এলডিসি থেকে উত্তরণের পর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে গার্মেন্ট ও টেক্সাইলের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে কিছু সম্ভাবনা খাত যেমন লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, কৃষিভিত্তিক শিল্প, হালাল পণ্য, ব্লু ইকোনমি, চামড়াজাত পণ্য ইত্যাদি খাতের উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। গত শনিবার বিসিআই বোর্ডরুমে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)-এর ৩৩তম বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিসিআইয়ের সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ)। তিনি বলেন, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে বিশ্ববাজারের চাহিদা ৭ ট্রিলিয়ন ডলার, কিন্তু বাংলাদেশ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রপ্তানি করেছে মাত্র ৩১ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। আর কৃষিভিত্তিক শিল্প বিশ্ববাজারের চাহিদা ১.৬ ট্রিলিয়ন ডলার, কিন্তু বাংলাদেশ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রপ্তানি করেছে মাত্র ৯০ কোটি ৮০ লাখ ডলার। বিসিআই নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, কৃষিভিত্তিক শিল্প খাতের উন্নয়নে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
সভায় বিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি, শাহেদুল ইসলাম হেলাল ও মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সহসভাপতি প্রীতি চক্রবর্তীসহ বিসিআইয়ের অন্যান্য পরিচালক ও অন্যান্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সভায় উপস্থিত সদস্যরা ভ্যাট, ট্যাক্স, ব্যাংক সুদ, ওয়ান-স্টপ সার্ভিস এবং আমদানি-রপ্তানি সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে আলোকপাত করেন এবং বিসিআই সভাপতি তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।