বিএসইসি’র চেয়ারম্যানকে ডিএসই’র অভিনন্দন
ইত্তেফাক রিপোর্ট
গত ৮ বছরে পুঁজিবাজার উন্নয়নসহ বিভিন্ন কাজে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাফাল্যে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। আর বিএসইসির অভূতপূর্ব সাফল্যের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির চেয়ারম্যানসহ কমিশনারদের অভিনন্দন জানানোর জন্য ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের ৯২৪তম বোর্ড সভায় সিদ্ধান্তও হয়েছে। সে মোতাবেক গতকাল ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এ এম মাজেদুর রহমান অভিনন্দন বার্তা এসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনের হাতে তুলে দেন। যদিও শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন সময়ে দুর্বল মৌলভিত্তির শেয়ার তালিকাভুক্তি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড নিয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করেছেন।
গতকাল ডিএসই থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১০ সালে পুঁজিবাজার বিপর্যয়ের পর দেশের পুঁজিবাজার পুনর্গঠনের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ২০১১ সালের মে মাসে ড. এম খায়রুল হোসেনকে চেয়ারম্যান করে বর্তমান কমিশন গঠন করে। ড. এম খায়রুল হোসেনের নেতৃত্বে বর্তমান কমিশন অত্যন্ত ধৈর্য সহকারে প্রজ্ঞা ও মেধা দিয়ে সুদীর্ঘ ৮ বছর পুঁজিবাজার উন্নয়ন, নিয়ন্ত্রণ ও বিভিন্ন সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এই সময়ে বাজার তথা বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে প্রয়োজনীয় আইনগত সংস্কার ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার আজ এক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে।
বিগত ৮ বছরে বর্তমান কমিশনের নেতৃত্বে আইনভিত্তিক ও প্রযুক্তি নির্ভর যে পুঁজিবাজার গড়ে উঠেছে তা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য তথা বিনিয়োগকারীসহ সকল স্টেকহোল্ডারদের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে ডিএসই পরিচালনা পর্ষদ বিশ্বাস করে।
বর্তমান কমিশনের বহুবিধ সংস্কারমূলক কাজের অংশ হিসেবে পুঁজিবাজার তথা বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি নানামুখী সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেয়। এর মধ্যে ছিল—শেয়ারবাজারে অনিয়ম চিহ্নিত করার মাধ্যমে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বাজার পর্যবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধান প্রক্রিয়া জোরদার করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিকমানের সার্ভেইলেন্স সফটওয়্যার স্থাপন করে বাজারের স্বচ্ছতার ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ; বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণের জন্য সরকার কর্তৃক বিশেষ স্কিম ঘোষণা; পুঁজিবাজারের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার জনগণকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ এবং এর ঝুঁকি সম্পর্কে অবহিত করতে দেশব্যাপী বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম প্রচলনসহ বিভিন্ন উদ্যাগ ডিএসইসির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তুলে ধরা হয়।