শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রপ্তানির উেস কর এক শতাংশ হচ্ছে

আপডেট : ১২ জুন ২০১৯, ২২:০৯

রিয়াদ হোসেন

গার্মেন্টস পণ্যসহ সব ধরনের রপ্তানির উেস কর বিদ্যমান ০.২৫ শতাংশ (শূন্য দশমিক দুই পাঁচ) থেকে চারগুণ বেড়ে এক শতাংশ হতে পারে। এ বিষয়ে এবারের বাজেটে কিংবা অর্থবিলে কোনো বক্তব্য না থাকলেও তা এক শতাংশে উন্নীত হবে। কেননা গতবারই এক শতাংশ হওয়ার পর তা কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তটি (আদেশ বা এস আরও) দেওয়া হয়েছে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ের জন্য। এক্ষেত্রে বাজেটে কিছু বলা না থাকলেও ওই আদেশটি আপনা আপনিই ৩০ জুন শেষ হয়ে পূর্বের অবস্থানে ফেরত যাবে। অর্থাত্ সেক্ষেত্রে রপ্তানির কর ফের এক শতাংশে উন্নীত হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত অর্থবছর রপ্তানির উেস কর ০.৭০ শতাংশ থেকে বেড়ে এক শতাংশ হলেও গার্মেন্টস খাতের উদ্যোক্তাদের  জোর লবিংয়ে তা ০.৬০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। এর পর গত বছর গার্মেন্টস খাতে নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নের পর এ খাতের মালিকপক্ষের অনুরোধে গত জানুয়ারির শুরুতে তা আরো কমিয়ে ০.২৫ শতাংশে আনা হয়।

রপ্তানির উেস কর রপ্তানি মূল্যের ওপর আদায় করা হয়, মুনাফার ওপর নয়। কর এক শতাংশে উন্নীত হলে প্রতি একশ টাকার রপ্তানি মূল্যের ওপর বিদ্যমান ২৫ পয়সার স্থলে কর পরিশোধ করতে হবে এক টাকা। রপ্তানির অর্থ দেশে আসার পর রপ্তানিকারককে অর্থ পরিশোধকালে ব্যাংকই উেস   ঐ অর্থ কেটে রাখে। রপ্তানিকারকের মুনাফা কিংবা আয় হোক বা না হোক, রপ্তানি মূল্যের ওপর এই পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হয়। কারো লোকসান হলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল সাপেক্ষে ঐ অর্থ সমন্বয়ের সুযোগ থাকলেও সাধারণত কেউ এসে ঐ অর্থ আর দাবি করেন না। অন্যদিকে কোনো প্রতিষ্ঠান বেশি মুনাফা করলেও কর বিভাগকে বাড়তি কর পরিশোধ করে না। অর্থাত্ লাভ-লোকসান যা-ই হোক, উেস কর্তিত করের হিসেবেই আয় দেখানো হয়। এক্ষেত্রে বাড়তি মুনাফা অর্জনকারী প্রতিষ্ঠানের ঐ অর্থ অপ্রদর্শিত হয়ে থাকে। পরবর্তীতে নির্দিষ্ট পরিমাণ কর পরিশোধ করে ঐ অর্থ সাদা করার সুযোগ থাকলেও প্রতিষ্ঠানগুলো আর সেই পথে হাঁটে না। এনবিআরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইত্তেফাককে বলেন, করের হার বেশি হলে অপ্রদর্শিত অর্থের পরিবর্তে বিনিয়োগযোগ্য সাদা টাকা বেশি করে দেখানোর সুযোগ পাবে প্রতিষ্ঠানগুলো।

গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৭শ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ। এর মধ্যে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩ হাজার কোটি ডলারের বেশি।