শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্যোগে পুঁজিবাজারে তেজীভাব

আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২০:৫০

সূচক উঠে এলো ৫ হাজার পয়েন্টের ওপরে

ইত্তেফাক রিপোর্ট

পুঁজিবাজারে টানা সূচকের পতনের পর চলতি সপ্তাহের শুরুতে ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাজার। সপ্তাহের প্রথম দিনের মতো গতকাল দ্বিতীয় দিন সোমবারও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচকের (ডিএসইএক্স) বড়ো উল্লম্ফন হয়েছে, বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট। ফলে দুই দিনে সূচক বেড়েছে ১৪৩ পয়েন্ট। ফলে সূচক ৫ হাজার পয়েন্টের ওপরে উঠে এসেছে। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গতকাল সার্বিক সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২৫২ পয়েন্ট। এছাড়া দুই বাজারেই লেনদেনও বেড়েছে।

মূলত শেয়ারবাজারের বিনিয়োগের জন্য ব্যাংকগুলোর তারল্য বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঘোষণার পরই বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। রবিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আইনগত সীমার মধ্যে থেকে যেসব ব্যাংকের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে, সেসব ব্যাংক ট্রেজারি বন্ড বা বিল রেপোর বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তারল্যসুবিধা নিতে পারবে। আগে ব্যাংকগুলোর জন্য রেপোর সর্বোচ্চ মেয়াদ ছিল ২৮ দিন। এখন তা বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ছয় মাস করা হয়েছে। তবে মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়টি নির্ভর করবে ব্যাংকগুলো যে তারল্যসুবিধা নেবে, তা ব্যবহারের সাফল্যের ওপর। ৯টি শর্তে ব্যাংকগুলোকে এই সাময়িক তারল্যসুবিধা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই টাকা পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর নিজস্ব পোর্টফোলিওতে সরাসরি বিনিয়োগ করা যাবে অথবা তাদের সাবসিডিয়ারি কোম্পানিতে ঋণ দেওয়া যাবে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে মূল সমস্যা হচ্ছে তারল্য সংকট ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার অভাব। এ দুটি সমস্যা থেকে উত্তরণ ঘটাতে পারলে বাজারে গতি আসবে। এ দুটি বিষয় একটি অপরটির সঙ্গে সম্পৃক্ত। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা বাজারে তারল্য সংকট কাটাতে সহায়ক ভুমিকা রাখবে। তারল্য সংকট কাটানো সম্ভব হলে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থাও বাড়বে।

জানা গেছে, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যাংকগুলোকে সরাসরি তারল্য জোগান দেওয়ার বাংলাদেশ ব্যাংকের এটিই প্রথম উদ্যোগ। এর আগে বিভিন্ন সময় শেয়ারবাজারে পতন ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে নীতিসহায়তা দেওয়া হয়।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৫১৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। রবিবার মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩০৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৮২টির, কমেছে ৫৩টির, অপরিবর্তিত আছে ১৮টির।

লেনদেনের শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হলো: গ্রামীণফোন, ন্যাশনাল টিউবস, সামিট পাওয়ার, ভিএফএস থ্রেড ডায়িং লিমিটেড, ফরচুন, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, রেনেটা, স্কয়ার ফার্মা ও ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি।

দর বাড়ার শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হলো: ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, আইএফআইসি, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, সুহূদ, ভিএফএস থ্রেড ডায়িং লিমিটেড, মাইডাস ফাইন্যান্স, এমএল ডায়িং লিমিটেড ও তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স।

দর কমার শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হলো: ন্যাশনাল পলিমার, ইউনাইটেড এয়ার, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স, জেএমআই সিরিঞ্জ, ইয়াকিন পলিমার লিমিটেড, মুন্নু স্টাফলার, আল-হাজ্ব টেক্সটাইল, বিডি অটোকার ও খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।