ইত্তেফাক রিপোর্ট
এ পর্যন্ত ১৪৬টি প্রতিষ্ঠান সরকারের শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে তাদের মুনাফার নির্দিষ্ট অংশ জমা দিয়েছে। অর্থের অঙ্কে এর পরিমাণ ৩৮৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এই তহবিল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের প্রায় সাড়ে ১০ হাজার শ্রমিককে ৩২ কোটি টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে তিন প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে অর্থ প্রদান উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান শ্রমিক কল্যাণের এই চেক গ্রহণ করেন।
গতকাল শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে অর্থ প্রদানকারী কোম্পানিগুলো হলো মোবাইল কোম্পানি রবি অজিয়াটা লিমিটেড, সুইং থ্রেড কোম্পানি কোটস এবং সিমেন্ট উত্পাদনকারী কোম্পানি লাফার্জ হোলসিম। প্রতিষ্ঠানগুলো গত এক বছরের লভ্যাংশের নির্দিষ্ট অংশ হিসেবে ২ কোটি ৮৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে জমা দিয়েছে।
এ সময় রবি অজিয়াটা কোম্পানির প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা মো. ফয়সাল ইমতিয়াজ খান, সুইং থ্রেড কোম্পানি কোটসের মানবসম্পদ পরিচালক মননিতা এবং লাফার্জ হোলসিমের মানবসম্পদ পরিচালক কাজী মিজানুর রহমান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চেক হস্তান্তর করেন।
বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির নিট লাভের শতকরা ৫ ভাগের কল্যাণ তহবিল ও অন্যান্য তহবিল মিলে শ্রমিকদের দেওয়ার বিধান রয়েছে। এর মধ্যে আলোচ্য ৫ শতাংশের ১ দশমাংশ বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে জমা দেওয়ার নিয়ম। প্রতি বছরের লাভ-লোকসানের হিসাবের পর এই অর্থ জমা দিতে হয়। তবে অভিযোগ রয়েছে, বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানই এই বিধান এখনো পরিপালন করে না। আবার কিছু প্রতিষ্ঠান এই অর্থ না দিতে অপকৌশলের আশ্রয় নেয়। সেক্ষেত্রে নানা উপায়ে লোকসান দেখায়। কেননা, লোকসানি কোম্পানিকে শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে অর্থ দিতে হয় না।
চেক প্রদান অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আলী আজম, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. রেজাউল হক, কেন্দ্রীয় তহবিলের মহাপরিচালক ড. আনিসুল আওয়াল, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।