বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

১২ বছরের কিশোর তৈরি করল করোনা সুরক্ষা যন্ত্র

আপডেট : ২০ মে ২০২০, ২০:৩৩

মোজাহেদুল ইসলাম ঢেউ

 

বর্তমানে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে নিজেকে সুস্থ রাখতে দরজার হাতল, লিফটের বোতাম, এটিএমের ক্লিপ্যাডের মতো যেসব স্থান থেকে জীবাণু ছড়াতে পারে, তা স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এসব জায়গার স্পর্শ এড়াতে যদি কোনো দরকারি টুল বা যন্ত্র পাওয়া যায়, তবে কেমন হয়? যুক্তরাষ্ট্রের ১২ বছর বয়সী মিজান রুপান-টম্পকিনস নামের এক কিশোর এমনই হুক বা আংটাসদৃশ একটি টুল তৈরি করেছে। মা-বাবার জন্য তৈরি করা তার এ বিশেষ নকশার ডিভাইসটি এখন অনলাইনে বিক্রি করা শুরু করেছে সে।

গুড নিউজ নেটওয়ার্কের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এপ্রিল মাসে সানফ্রান্সিসকোতে করোনা মহামারি ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলে ১২ বছর বয়সী মিজান রুপান নিজেদের প্রয়োজনে থ্রিডি প্রিন্টার ব্যবহার করে হুকের মতো একটি ডিভাইসের প্রটোটাইপ তৈরি করে। তার মা-বাবার হাতে দস্তানা দিয়ে দরজার হাতল ধরার সমস্যা দূর করতে নতুন উদ্ভাবন হিসেবে এ ডিভাইসের নকশা করে সে। মিজান তার নতুন ডিভাইসটির নাম দিয়েছে ‘সেফ টাচ প্রো’, যাতে হাতল ধরে টানার পাশাপাশি বোতাম চাপা বা কিবোর্ড ব্যবহারের সুযোগ আছে।

সানফ্রান্সিসকোতে কেটিভিইউকে মিজান বলেছে, মা-বাবার জন্য এটি তৈরি করেছিলাম। এখন সবার কাজে লাগছে। এটি তৈরির সময় যাতে পরিবেশবান্ধব হয়, সেটি খেয়াল রেখেছিলাম। এ ছাড়া এতে যাতে ভাইরাস টিকতে না পারে, সে ব্যবস্থার কথাও মাথায় রাখতে হয়েছিল।

মিজান হুট করেই ডিভাইসটি তৈরি করেনি। এর জন্য সে বাজার গবেষণা করে এর চাহিদা সম্পর্কে আগে নিশ্চিত হয়েছে। সে প্রটোটাইপ থেকে মূল ডিভাইসটির হালনাগাদ করে উদ্ভিদভিত্তিক প্লাস্টিক ব্যবহার করেছে, যা জীবাণুপ্রতিরোধী।

নিজের ওয়েবসাইটে মিজান এখন সেফ টাচ প্রো ডিভাইসটি ১৪ দশমিক ৯৯ মার্কিন ডলারে বিক্রি করছে। ইতিমধ্যে কয়েক শ ডিভাইস বিক্রি করেছে এবং প্রতিদিন কয়েক ডজনের জন্য ফরমাশ পাচ্ছে।

অবশ্য মিজানের উদ্ভাবনী ক্ষমতার প্রমাণ এটাই প্রথম নয়। এর আগে নিজেই বিশেষ কম্পিউটার ও তাতে অ্যালেক্সার মতো নিজস্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমান সফটওয়্যার ব্যবহার করে দেখিয়েছে। এ ছাড়া বয়স অনুমান করা রোবটও তৈরি করেছে সে।

তিন বছর ধরে হোমস্কুল কর্মসূচির অধীনে থাকা মিজান ভবিষ্যতে এভিয়েশন, অ্যারোনটিক্যাল ডিজাইন বা প্রযুক্তিতে ক্যারিয়ার গড়ার পরিকল্পনা করেছে।