শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বাজেটের মধ্যে স্মার্টফোন কিনতে চাইলে যে বিষয়গুলো খেয়াল করবেন

আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০১৯, ২১:৩৭

খুব স্বল্পমূল্যেই এখন স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট পিসির মতো আধুনিক সব প্রযুক্তি পণ্য পাওয়া যায় বাজারে। তবে খুব বেশি দাম দিয়ে হাই-এন্ড সব স্মার্টফোন কেনা যতটা সহজ, স্বল্পমূল্যের স্মার্টফোন কেনা অতটা সহজ নয়। কেননা স্বল্পমূল্যের স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের যেমন বৈচিত্র্য রয়েছে, তেমনি রয়েছে খুব কাছাকাছি কনফিগারেশনের নানা মডেল। স্বল্পমূল্যের বাজেট স্মার্টফোন কিনতে হলে তাই কোন বিষয়গুলো মাথায় রাখা দরকার, তা এই লেখায় তুলে ধরেছেন আরিফুর রহমান

হাই-অ্যান্ড স্মার্টফোনের সঙ্গে তুলনা করবেন না

অনেকেই মনে করে থাকেন, হাই-এন্ড সব স্মার্টফোনে এমন খুব বেশি ফিচার থাকে না যে তাদের দাম এত বেশি হবে। কিন্তু তাদের অভিজ্ঞতায় আবার হাই-এন্ড স্মার্টফোগুলো পারফর্ম্যান্সের দিক থেকে অনেক এগিয়ে থাকে। ফলে বাজেট স্মার্টফোনের পারফর্ম্যান্সে তারা দ্রুতই হতাশ হয়ে যান। মনে রাখতে হবে, এসব স্মার্টফোনকে বাজেট স্মার্টফোন বলা হয় সুনির্দিষ্ট কোনো কারণেই। বাজেট স্মার্টফোন কিনতে চাইলে তাই আপনাকে কোনো না কোনো ফিচারে আপোষ করতেই হবে। এটা মাথায় রেখে তবেই ফোন কিনুন।

প্রয়োজনকে গুরুত্ব দিন

স্বল্পমূল্যের স্মার্টফোন তৈরি করতে গিয়ে ফোন নির্মাতা কোম্পানিকেও বিভিন্ন ফিচারে আপোষ করতে হয়। হয়তো বাজেট স্মার্টফোনে ডিসপ্লের আকারটি বড়, কিন্তু তার রেজ্যুলেশন হয়তো ভালো হবে না। আবার ইন্টার্নাল স্টোরেজ বেশি থাকলেও পুরোটা হয়তো ব্যবহারের উপযোগী হবে না। আবার হয়তো দেখা যাবে ব্লুটুথ রয়েছে ঠিকই, কিন্তু তা সর্বশেষ সংস্করণের নয়; কিংবা থ্রিজি হয়তো সমর্থন করবে, কিন্তু ওয়াই-ফাই থাকবে না। কাজেই স্মার্টফোনের নানা ধরনের ফিচারের মধ্যে ঠিক কোনগুলো আপনার প্রয়োজন, সেগুলো ঠিকঠাকমতো রয়েছে কি না তা ভালোভাবে দেখে নিন।

হার্ডওয়্যারে নজর রাখুন

বাজের স্মার্টফোন কেনার সময় হার্ডওয়্যারের দিকেই বেশি নজর দেওয়া উচিত। হার্ডওয়্যার শক্তিশালী হলে তা পারফর্ম্যান্সের দিক থেকে এগিয়ে রাখবে ফোনকে। এক্ষেত্রে শুরুতেই প্রসেসর এবং র্যামের পরিমাণটি দেখে নিন। ভালো প্রসেসর আর বেশি পরিমাণ র্যাম থাকলে অনেক ফিচারকেই অগ্রাহ্য করতে পারেন। এই দুইটি যন্ত্রাংশের পর বাড়তি স্টোরেজ ব্যবহারের সুবিধা, ডিসপ্লের আকার ও রেজ্যুলেশন, সংযোগ এবং ব্যাটারির দিকে মনোযোগী হোন। কাজের জন্য স্মার্টফোন কিনলে অযথা হালকা-পাতলা বা স্টাইলিস্ট ফোনের দিকে নজর না দিলেই ভালো।

ওএস সংস্করণ দেখে নিন

স্মার্টফোনে ওএস বা অপারেটিং সিস্টেমের সর্বশেষ সংস্করণ থাকা বাঞ্ছনীয়। প্রথমত, আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন না যে আপনার ফোনটিতে পুরোনো সংস্করণের কোনো অপারেটিং সিস্টেম চলবে। দ্বিতীয়ত, সর্বশেষ সংস্করণের অপারেটিং সিস্টেম না থাকলে অনেক অ্যাপ্লিকেশনই সঠিকভাবে চালাতে পারবেন না আপনার ফোনে। আর তৃতীয়ত এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—অপারেটিং সিস্টেম যত বেশি আপডেট থাকবে, নিরাপত্তার দিক থেকে ফোনটি ততই এগিয়ে থাকবে। তবে অপারেটিং সিস্টেমের প্রতিটি সংস্করণের জন্যই ন্যূনতম হার্ডওয়্যার কনফিগারেশনের চাহিদা থাকে। আপনার ফোনের হার্ডওয়্যার অনুযায়ী অপারেটিং সিস্টেমের সর্বশেষ সংস্করণ রয়েছে কি না, সেটি চেক করে নিন।

বিক্রয়োত্তর সেবা

প্রযুক্তি পণ্যের ক্ষেত্রে বিক্রয়োত্তর সেবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্মার্টফোনগুলোতে সাধারণত এক বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা থাকলেও এর মধ্যেও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সারাইয়ের দরকার হতে পারে। এক বছর পরেও ফোনের সার্ভিসিং প্রয়োজন হতে পারে। সেক্ষেত্রে কোন ব্র্যান্ডের ফোনে বিক্রয়োত্তর সেবাটি ভালো পাওয়া যাবে, সেটি জেনে নেওয়া জরুরি। বিক্রয়োত্তর সেবার মেয়াদে বিক্রয়োত্তর সেবা নিতে গেলেও কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা রয়েছে কি না, তা আগে থেকে জেনে নিন।