শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

হংকংয়ে ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে আটকা দুই শতাধিক বিক্ষোভকারী

আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০১৯, ২২:০৯

হংকংয়ে একটি ইউনিভার্সিটিতে গণতন্ত্রকামী শিক্ষার্থীদের ঘিরে রেখেছে পুলিশ। তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পালাচ্ছেন। সোমবার রাতের মধ্যে ৬০০ বিক্ষোভকারীকে ছেড়ে দিলেও গতকাল পর্যন্ত দুই শতাধিক বিক্ষোভকারী আটকা আছে বলে জানা গেছে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে তিয়েনআনমেন স্কয়ারের আতঙ্ক তাড়া করছে। খবর ডেইলি মেইলের

হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী জানিয়েছেন, সোমবার সারারাত ধরে ৬০০ বিক্ষোভকারীকে মুক্তি দেওয়া হয়। এর মধ্যে ২০০ শিশু রয়েছে যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বাকি ৪০০ জন প্রাপ্তবয়স্ককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে হংকংয়ের পুলিশপ্রধান হুমকি দিয়েছিলেন, পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে গুলি করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। এরপরই অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যে, তিয়েনআনমেন স্কয়ারের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। তৃতীয় দিনের মতো ক্যাম্পাসে আটকা আছেন শিক্ষার্থীরা। গ্রেফতার এড়াতে ড্রেনের ভেতর দিয়ে এবং ব্রিজ থেকে রশি বেয়ে পালাচ্ছেন কেউ কেউ। ক্যারি ল্যাম আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আত্মসমর্পণের কোনো বিকল্প নেই। ছান (ছদ্মনাম) নামের এক নারী (৫০) বলেন, তার সন্তানও ক্যাম্পাসে আটকা আছেন। পুলিশ হামলা করার কথা বলায় তিয়েনআনমেন স্কোয়ারের  মতো ঘটনা ঘটতে পারে।

পুলিশ সোমবার বিক্ষোভ দমনে কী ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করেছে তার একটি হিসাব দিয়েছে। গতকাল পুলিশ জানায়, তারা ১ হাজার ৪৫৮ টিয়ার গ্যাসের শেল, ১ হাজার ৩৯১ রাবার বুলেট, ৩২৫ বিন ব্যাগ রাউন্ড এবং ২৬৫ স্পঞ্জ বুলেট ব্যবহার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে দাঙ্গার অভিযোগ আনা হচ্ছে, যাদেরকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে। উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে চীনের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারের বিক্ষোভ দমনে ৪ জুন নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালায়। বেইজিংয়ের তথ্যমতে, এতে ২০০ থেকে ৩০০ নিহত, নিউ ইয়র্ক টাইমসের মতে, এই সংখ্যা ছিল ৩০০ থেকে ৮০০-এর মধ্যে। আর চীনা রেডক্রস জানিয়েছিল, নিহতের সংখ্যা ছিল ২ হাজার থেকে ৩ হাজার। গত কয়েক মাস ধরে চলা সরকারবিরোধী বিক্ষোভের কারণে অস্থিরতা বিরাজ করছে হংকংয়ে। তবে আধাস্বায়ত্তশাসিত এই চীনা নিয়ন্ত্রণাধীন শহরে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে বেশি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে সাম্প্রতিক সময়ে।