শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ বিএনপি এখন চিঠির রাজনীতি শুরু করেছে :নাসিম

আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০১৯, ২২:১৮

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র ও খাদ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ নাসিম এমপি বলেছেন, নির্বাচন-আন্দোলনসহ সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন চিঠির রাজনীতি শুরু করেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৪ দলের বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্প্রতি ভারত সফরের সময় কোনো চুক্তি হয়নি, দেশের স্বার্থে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) হয়েছে। শেখ হাসিনা দেশবিরোধী কোনো কাজ করেননি, কোনো দিন করবেনও না। অথচ হঠাত্ করে দেখলাম বিএনপি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিল। পার্লামেন্ট চলছে, কিন্তু সংসদে তারা এ বিষয় নিয়ে একটি শব্দও বলেননি। এখন চিঠি দেওয়ার অর্থটা কী? এখন তো তাদের কোনো ইস্যু নেই।’

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। কষ্ট হলেও সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নে সরকারকে সহযোগিতা করতে তিনি জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, জনগণকে জিম্মি করে পরিবহন ধর্মঘট ১৪ দল সমর্থন করে না। সড়ক পরিবহনের কারো যদি ‘সড়ক পরিবহন আইন’ নিয়ে কথা থাকে, মালিক হোক, শ্রমিক হোক আলোচনায় বসে সমস্যার সমাধান করুন। মানুষকে জিম্মি করে পরিবহন ধর্মঘট করবেন না। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিএনপি-জামায়াত পারে না এমন কিছু নেই। তাদের হাতে এখন কোনো ইস্যু নেই। তারা অনেক ইস্যু হারিয়েছে, ব্যর্থ হয়েছে ইস্যু সৃষ্টি করতে। তিনি বলেন, পেঁয়াজের পর এবার চালের দাম বাড়ানোর ষড়যন্ত্র চলছে। তাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়কে সমন্বয় করে আগাম প্রস্তুতি ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অসত্ ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে তত্পর হোন। তিনি বলেন, একটা অশুভ চক্র আছে, যারা মানুষের ক্ষুধা নিয়ে রাজনীতি করে। এই অশুভ শক্তি কারা তা সবাই জানে। বিএনপি-জামায়াত এমন কিছু নেই যে তারা করতে পারে না। এই চক্র সব সময় আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে চলেছে। তিনি বলেন, যারা গুদামে পেঁয়াজ রেখে পচিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।

সভাপতির বক্তৃতায় জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, দ্রব্যমূল্যের ওঠানামার সুযোগ নিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার উত্খাতের হুংকার শুধু শব্দদূষণই করবে, কিছুই হবে না। সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে অসত্ ব্যবসায়ীদের শুদ্ধি অভিযানের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী এমপি, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরিফ নূরুল আম্বিয়া, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, ওয়ার্কার্স পার্টির আনিসুর রহমান মল্লিক, জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রেসিডিয়াম সদস্য এজাজ আহমেদ মুক্তা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দিলীপ রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।