শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সড়ক পরিবহন আইন প্রয়োগে বাড়াবাড়ি হবে না :কাদের

আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০১৯, ২২:৪০

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, নেতিবাচক রাজনীতির কারণে বিএনপি জনসমর্থন হারিয়েছে। একই সঙ্গে আন্দোলনেও ব্যর্থ হয়ে তারা এখন চক্রান্তের পথ বেছে নিয়েছে। তারা জানে জনগণের রায় নিয়ে ক্ষমতায় আসা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই তাদের এখন কাজই হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে গুজব সৃষ্টি করা, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা। গতকাল বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষ্যে গঠিত সাংস্কৃতিক উপকমিটির বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

নতুন সড়ক পরিবহন আইনের বিরুদ্ধে ধর্মঘট প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। তাই যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটার কোনো কারণ নেই। সড়ক পরিবহন আইন সঠিকভাবে কার্যকর হবে। আইন প্রয়োগে               অহেতুক বাড়াবাড়ি হবে না।’ তিনি বলেন, ‘বাস্তব পরিস্থিতির আলোকে আমরা বিধিমালা প্রণয়ন করেছি। এর কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে যদি কোনো কিছু অসংগত মনে হয়, তাহলে সেটা আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখব।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি পেঁয়াজের ওপর ভর করে আন্দোলন করতে চেয়েছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। এর পরে গুজব ছড়িয়ে লবণ ও চালের মূল্যবৃদ্ধির চক্রান্ত করতে চেয়েছিল, তাতেও ব্যর্থ হয়েছে। বিএনপির আন্দোলনের কোনো ইস্যু নেই। শুধু বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করছে। তারা চক্রান্ত করতে গিয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে।’

‘সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ’ বলে বিএনপির নেতাদের সমালোচনার জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি তাদের নেতিবাচক রাজনীতির কারণে নাজুক অবস্থায় নিপতিত। এখন নেতাকর্মীদের চাঙা রাখার জন্য তাদের অনেক মিথ্যাচার করতে হয়। সরকারবিরোধী কথাবার্তা বলতে হয়।’ রাজনীতি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র বলতে যা বোঝায়, তার চর্চা আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দল করে বলে আমার জানা নেই। দলের জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতৃত্ব নির্বাচনেও একটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া আমরা অনুসরণ করি।’

সাংস্কৃতিক উপকমিটির চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক উপকমিটির সদস্যসচিব ও আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, চিত্রনায়ক আকবর হোসেন খাঁন পাঠান এমপি, লিয়াকত আলী লাকী, আহকামুল্লাহ, আশরাফুল আলম খোকন, মেহের আফরোজ শাওন, জায়েদ খান, এসডি রুবেল প্রমুখ।