শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বুয়েটের আবরার হত্যা

২৬ শিক্ষার্থী বহিস্কার বাকি দুই দাবি পূরণের অপেক্ষায় শিক্ষার্থীরা

আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০১৯, ২২:৩১

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে শিবির সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার পর দীর্ঘ দেড় মাস ধরে অচল বিশ্ববিদ্যালয়টি। এদিকে শিক্ষার্থীদের দেওয়া ৩টি দাবির মধ্যে একটি পূরণ হওয়ার বাকি দুইটি পূরণের অপেক্ষায় দিন পার করছে তারা। বৃহস্পতিবার রাতে শিক্ষার্থীদের প্রথম দাবি অনুযায়ী অভিযুক্তদের বহিষ্কার করা হয়েছে। এতে ছাত্রলীগের নেতাসহ ২৬ শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার হয়। এছাড়া ছয় শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করা হয়। আবরার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বুয়েট বোর্ড অব রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিন এ সিদ্ধান্ত নেয়।

বৃহস্পতিবার রাতে বুয়েট বোর্ড অব রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিনের সদস্যসচিব ও ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজীবন বহিষ্কার করা ২৬ জনের মধ্যে ২৫ জনই পুলিশের অভিযোগপত্র অনুযায়ী অভিযুক্ত। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে আরও ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করা হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ৩ সপ্তাহ সময় চেয়ে নেয়। তবে শিক্ষার্থীদের ৩ দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরতে নারাজ শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের দেওয়া তিনটি দাবি হলো, আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে নাম আসা ছাত্রদের বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা। যা ইতিমধ্যে পূরণ হয়েছে। অন্য দুটি দাবি হলো বুয়েটের আহসানউল্লাহ, তিতুমীর ও সোহরাওয়ার্দী হলে এর আগে ঘটে যাওয়া র্যাগিংয়ের ঘটনায় অভিযুক্তদের অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী শাস্তি; এবং সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতি ও র্যাগিংয়ের জন্য সুস্পষ্টভাবে শাস্তির নীতিমালা প্রণয়ন করে একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটে অনুমোদন করে বুয়েটের অধ্যাদেশে সংযোজন।

শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের প্রথম দাবিটি পূরণ হয়েছে। এবার দ্বিতীয় দাবিটি পূরণ হলে তাঁরা আসন্ন টার্ম ফাইনাল পরীক্ষার তারিখ মেনে নেবেন। কিন্তু পরীক্ষা শুরু হওয়ার অন্তত সাত দিন আগে তৃতীয় দাবিটি পূরণ হলে পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আজীবন বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন, অমিত সাহা, মেহেদী হাসান রবিন, মুহতাসিম ফুয়াদ, অনিক সরকার, মেহেদী হাসান রাসেল, ইফতি মোশররফ সকাল, মনিরুজ্জামান মনির, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মাজেদুর রহমান, মো. মুজাহিদুর রহমান, এহতেশামুল রাব্বী, খন্দকার তাবাক্কারুল ইসলাম, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মো. আকাশ, শামীম বিল্লাহ, নাজমুস সাদাত, অমর্ত্য ইসলাম, মো. মোর্শেদ মন্ডল, মোয়াজ আবু হুরায়রা, মুনতাসির আল জেমি, মিজানুর রহমান, মুজতবা রাফিদ, আশিকুল ইসলাম, শামসুল আরেফিন রাফাত, ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না ও এস এম মাহমুদ। আর বিভিন্ন মেয়াদে সাজা পাওয়া ৬ শিক্ষার্থী হলেন, নওশাদ সাকিব, সাইফুুল ইসলাম, মো. গালিব, শাওন মিয়া, ইকবাল অভি ও মো: ইসমাইল।