আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ নাসিম এমপি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াতের চক্রান্ত থেমে নেই। সরকার যত সফল হচ্ছে, ষড়যন্ত্র ততই গভীর হচ্ছে। চক্রান্ত মোকাবিলায় বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দল ঐক্যবদ্ধ আছে। এ ব্যাপারে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। রাজপথ ও নির্বাচনী লড়াইসহ রাজনৈতিকভাবে বিএনপি-জামায়াতকে আমরা চূড়ান্তভাবে পরাজিত করব।’
গতকাল সোমবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৪ দলের বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ইতিহাসের একজন খলনায়ক। খুনি মোস্তাকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা চক্রান্তের নেপথ্যের খলনায়কের ভূমিকা পালন করেছিলেন।
আগামী ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ১৪ দলের কর্মসূচি ঘোষণা করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ১৪ ডিসেম্বর সকাল ৭টায় মিরপুরে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ১৪ দলের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা জানাবেন। পরে রায়েরবাজার স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হবে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৭টায় জাতীয় স্মৃতিসৌধে ১৪ দলের উদ্যোগে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। ১৮ ডিসেম্বর বেলা ৩টায় রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিজয় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, গণআজাদী লীগের সভাপতি এস কে শিকদার, জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রেসিডিয়াম সদস্য এজাজ আহমেদ মুক্তা, ন্যাপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের যুগ্মআহ্বায়ক অসীত বরণ রায়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহাম্মদ মোহাম্মদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ডা. দিলীপ রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।