শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

পূর্ণাঙ্গ ই-পাসপোর্ট চালু হতে আরো দুই-তিন মাস লাগবে :অর্থমন্ত্রী

আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০১৯, ২৩:০০

ই-পাসপোর্ট চালু না হওয়া পর্যন্ত জনগণের চাহিদা মেটাতে ২০ লাখ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। গতকাল বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ব্যয় হবে ৫৩ কোটি টাকা। আর পাসপোর্ট সরবরাহ করবে আইডি গ্লোবাল সলিউশন লিমিটেড (সাবেক ডিলারু ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড) নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

সভা শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা সাংবাদিকদের জানান, এখন যে পরিমাণ পাসপোর্টের চাহিদা সেটা আমরা পূরণ করতে পারছি না। সারাবিশ্বে আমাদের যে দূতাবাস রয়েছে তাদের একটাই দাবি তারা সময়মতো পাসপোর্ট পাচ্ছে না বা কম পাচ্ছে। আমরা যেভাবে হিসাব করেছিলাম, পাসপোর্ট যারা তৈরি করে তারা সেভাবে দিতে পারেনি। তিনি বলেন, আমরা দ্রুত চাহিদা মেটাতে পুরোনো প্রতিষ্ঠান আইডি গ্লোবাল সলিউশন লিমিটেডের কাছে থেকে ২০ লাখ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) কিনছি। পাশাপাশি আমরা ই-পাসপোর্টে যাওয়ার চেষ্টায় রয়েছি। কবে নাগাদ ই-পাসপোর্ট চালু হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী ই-পাসপোর্ট উদ্বোধন করবেন। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৈঠকে জানিয়েছে ই-পাসপোর্ট চালু হতে আরো দুই থেকে তিন মাস সময় লাগবে। প্রথম দিকে দিনে ৫০০ ই-পাসপোর্ট দেওয়া হবে পরে এটি বাড়িয়ে ২ হাজার করে দেবে বলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি জানিয়েছে। এমআরপি ক্রয়ের প্রস্তাবটি গত ২৭ নভেম্বর ক্রয় কমিটিতে উপস্থাপন করা হলেও ফেরত দেওয়া হয়। সে সময় ৬৭ শতাংশ বেশি ব্যয় ধরে প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হয়েছিল। গতকালও সেই প্রস্তাবিত দামেই ক্রয় প্রস্তাবটি অনুমোদন দেওয়া হয়। কেন আগের দামেই এমআরপি ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হলো এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, দাম বেশির বিষয়টি ভুল ছিল। আমরা হিসাব করেছিলাম একনেকে মূল যে প্রকল্প অনুমোদন হয়েছিল সেটি। কিন্তু পরবর্তীতে এটার ভেরিয়েশন (মূল্য বেড়েছে) হয়েছে।

সভায় নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প শীর্ষক প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। অর্থমন্ত্রী জানান, ভূমি উন্নয়ন কাজসহ অন্য অবকাঠামোগত কাজ করবে জাপানের নির্মাণ কোম্পানি টোয়া করপোরেশন। এতে খরচ হবে ১ হাজার ৮১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।