মানি লন্ডারিং মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিসমিল্লাহ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরী, তার স্ত্রী ও গ্রুপের চেয়ারম্যান নওরীন হাবিবসহ সাত আসামিকে ধরতে রেড এলার্ট জারির নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলার দণ্ডিত আসামি এস এম শোয়েব-উল-কবীরের জামিনের শুনানিকালে এ আদেশ দেয়।
হাইকোর্ট বলেছে, পলাতক সাজাপ্রাপ্ত এ সাত জন দেশে থাকলে তাদের দ্রুত গ্রেফতার করতে, আর তারা যদি দেশের বাইরে পালিয়ে যেয়ে থাকে তাহলে তাদের গ্রেফতারের জন্য রেড এলার্ট জারি করতে। এ ব্যাপারে পুলিশের আইজিসহ সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলেছে আদালত।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ১০ সেপ্টেম্বর অর্থপাচার মামলায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের এমডি খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরী, তার স্ত্রী ও গ্রুপের চেয়ারম্যান নওরীন হাবিবসহ ৯ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০। এই কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিদের ৩০ কোটি ৬৭ লাখ ২৩ হাজার ৩৭৩ টাকা অর্থদণ্ড দেয় আদালত।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরী, তার স্ত্রী নওরীন হাবিব ছাড়া অন্যরা হলেন বিসমিল্লাহ গ্রুপের পরিচালক ও খাজা সোলেমানের বাবা সফিকুল আনোয়ার চৌধুরী, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আকবর আজিজ মুতাক্কি, মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আবুল হোসেন চৌধুরী, ব্যবস্থাপক রিয়াজউদ্দিন আহম্মেদ, নেটওয়ার্ক ফ্রেইট সিস্টেম লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন।
দুদকের আইনজীবী হাসান এম এস আজিম জানান, সাত দিনের মধ্যে পলাতক এই সাত আসামিকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর মধ্যে তারা যদি দেশত্যাগ করে থাকেন তাহলে ইন্টারপোলের সহযোগিতায় তাদের গ্রেফতারে রেড এলার্ট জারির নির্দেশ দিয়েছে আদালত।