শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

প্রাণ বাঁচাতে প্রাণ বিসর্জন

আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২২:৪২

জীবন বাজি রেখে অতন্দ্র প্রহরীর মতো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের দিনরাত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন ডাক্তার-নার্সরা। সার্বক্ষণিক ফেসমাস্ক, চশমা আর সুরক্ষিত পোশাকসহ নানা কিছু দিয়ে শরীর মুড়িয়ে রাখতে হচ্ছে তাদের। তার পরও করোনা ভাইরাস ডাক্তার-নার্সদের জীবন কেড়ে নিচ্ছে। প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ বিসর্জন করলেও এক সেকেন্ডের জন্য থেমে নেই চিকিত্সা সেবা। চীনের উহান শহরের চিকিত্সক ও নার্সসহ হাসপাতাল কর্মীদের মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছে না। দীর্ঘ সময় মাস্ক পরে ক্লান্ত শরীরে রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে সবার মুখে দেখা যাচ্ছে ছোপ ছোপ দাগ। অনিদ্রা আর টানা পরিশ্রমের কারণে অবসাদগ্রস্ত অনেক চিকিত্সককে হাসপাতালের চেয়ারে বসেই অঝোরে কাঁদতে দেখা গেছে। তবে সেবা দিতে পিছপা হচ্ছেন না। রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে নিজেদের স্ত্রী-সন্তান, বাবা-মা ও পরিবারের কথা যেন তাদের মনেই নেই। আক্রান্ত রোগীদের বাঁচিয়ে তুলতে চিকিত্সক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণে অসুস্থ মানুষ মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। এই অসহায়ত্বের সময় নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের সেবায় কাজ করে চলেছেন চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার চিকিত্সক ও নার্স। কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রকোপ এতই নিষ্ঠুর যে, যারা জীবন বাঁচানোর লড়াইয়ে নেমেছেন তারাও আজ মৃত্যুর হুমকিতে। শত শত মানুষের সেবা করতে গিয়ে তারাও রোগীতে পরিণত হচ্ছেন। এখন পর্যন্ত চীনে সাত জন চিকিত্সক ও সেবাকর্মী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজারের বেশি চিকিত্সক ও নার্স।

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চীনসহ ৫৩টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। বিশ্বে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮৫৮ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় আরো ২৫৬ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার পর বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৩ হাজার ৪৫ জনে দাঁড়িয়েছে। চীনে আক্রান্তদের মধ্যে ৩৬ হাজার ১১৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলে তথ্য দিয়েছে দেশটির ন্যাশনাল হেলথ কমিশন। কারোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের বাঁচাতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট চিকিত্সকরা নিজেদের বাবা-মা, পরিবারের কথা ভুলে যান। আর করোনা আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে থাকাকালে স্বজনদের সাক্ষাত্ পান না। একমাত্র চিকিত্সক-নার্সরাই সার্বক্ষণিক তাদের পাশে থাকেন। ডাক্তার-নার্সরা অসাধ্য সাধন করায় যেভাবে আক্রান্ত হয়েছেন, সেই তুলনায় প্রাণহানী কম।

মধ্য চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর করোনা ভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়। নিউমোনিয়ার মতো লক্ষণ নিয়ে নতুন এ রোগ ছড়াতে দেখে চীনা কর্তৃপক্ষ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সতর্ক করে। এরপর ১১ জানুয়ারি প্রথম এক জনের মৃত্যু হয়। ঠিক কীভাবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়েছিল—সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা। তবে ধারণা করা হচ্ছে, উহানের একটি সি ফুড মার্কেটে কোনো প্রাণী থেকে এ ভাইরাস প্রথম মানুষের দেহে আসে। তারপর মানুষ থেকে ছড়াতে থাকে মানুষে। কোনো সংক্রামক ব্যাধি যখন মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যায়, রোগতত্ত্বের ভাষায় তখন তাকে বলে প্যানডেমিক।

চীনের ভেতর করোনা ভাইরাসটিকে ‘বেঁধে রাখা’ সম্ভব না হওয়ায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এখন চিকিত্সা উপকরণের মজুদ বাড়াচ্ছে, ডাক্তার-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রস্তুত করছে। এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশ। রাজধানীর উত্তরায় কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য পূর্ণাঙ্গভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে ২০০ বেডের এই হাসপাতালটির আউটডোর ও ইনডোর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ হাসপাতালে আইসিইউ ও ডায়ালাইসিস ইউনিট চালু করা হয়েছে। ডাক্তার-নার্সদের প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য চিকিত্সক অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ জানান, আমাদের কাজই হলো রোগীদের সেবা দেওয়া। নিজেদের নিরাপদ থেকে ডাক্তার-নার্সরা রোগীদের সেবা দিয়ে যাবেন। বাঁচা-মরা আল্লাহর ওপর নির্ভর করছে। তিনি বলেন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে চিকিত্সকদের অবদান কম নয়। বুলেটের সামনেও আমরা রোগীদের সেবা দিয়েছি। হতাহতদের চিকিত্সা দিয়ে সুস্থ করে তোলা আমাদের দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালন করতে আমরা প্রস্তুত। অনেক চিকিত্সক পাক হানাদার বাহিনীর হাতেও শহিদ হয়েছেন। কিন্তু চিকিত্সা সেবা বন্ধ হয়নি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, আমাদের কাজই হলো রোগীদের সুস্থ করে তোলা। এ দায়িত্ব পালন করতে আমরা সদা প্রস্তুত। চিকিত্সকদের করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিতে প্রস্তুত করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, বিশিষ্ট নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত জানান, চিকিত্সকরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জীবন বাজি রেখে সফল সেবা দিতে সক্ষম হয়েছেন। এ কারণে আক্রান্তের তুলনায় প্রাণহানী কম। আমাদের দেশেও ডাক্তার-নার্সরা সেবা দিতে প্রস্তুত। চিকিত্সকরা সেবা দিয়ে যাবে, বাঁচবো কি মরবো তা দেখা হবে না। এমনকি প্রাণঘাতী হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস রোগীর অপারেশন করতে গিয়ে চিকিত্সক আক্রান্ত হয়েছেন। পরে তিনি মারাও গেছেন। কিন্তু ডাক্তার কিংবা রোগী জানতো না, ঐ রোগী বি ভাইরাসে আক্রান্ত। এমন ঘটনা অহরহ ঘটে। এজন্য চিকিত্সকরা চিকিত্সা সেবা দেওয়া থেকে পিছপা হন না। করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে চিকিত্সা সেবা দিতে একই দায়িত্ব পালন করব আমরা।   

করোনা ভাইরাসে যে শুধু সাধারণ মানুষই আক্রান্ত হচ্ছেন তা নয়, তাদের সেবায় থাকা চিকিত্সকরাও আক্রান্ত হচ্ছেন, মারাও যাচ্ছেন।  মারাত্মক করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে যে চীনা চিকিত্সক সর্বপ্রথম সতর্ক বার্তা দিয়েছিলেন, চলতি মাসের প্রথমদিকে তিনি নিজেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। লি ওয়েনলিয়াং নামে ঐ চিকিত্সক উহান সেন্ট্রাল হাসপাতালে কাজ করার সময় ভাইরাসে আক্রান্ত হন। ডা. লি ৩০ ডিসেম্বর সহকর্মীদের কাছে একটি সতর্ক বার্তা পাঠিয়েছিলেন। তবে পুলিশ তাকে মিথ্যা মন্তব্য বন্ধ করতে বলে। তার মৃত্যু চীনা সামাজিক মাধ্যম ওয়েইবোতে ঝড় তোলে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন চীনের উহান শহরের শীর্ষস্থানীয় ‘উহান উচাং হসপিটাল’ এর প্রধান ডা. লিউ জিমিং। হাসপাতালটিতে গত এক মাসের বেশি সময় ধরে কেবল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিত্সা দেওয়া হচ্ছিল। এখনো হুবেই প্রদেশে নতুন করে হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় চিকিত্সা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিত্সক, নার্স ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজধানী বেইজিংসহ অন্য সব প্রদেশ থেকে নতুন করে আরো চিকিত্সক ও নার্স হুবেইতে পাঠানো হচ্ছে। তবে সেখানে যাওয়ার আগে চিকিত্সক ও নার্সদের মধ্যে মাথা ন্যাড়া করার হিড়িক পড়েছে। ভয়াবহ ঐ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া রুখতেই তারা এ ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, আক্রান্তদের চিকিত্সা দেওয়ার সময় যাতে নিজেরা এ ভাইরাসে আক্রান্ত না হন সেজন্য চীনা চিকিত্সক এবং নার্সরা তাদের চুল ছোটো করে ফেলছেন। অনেকে মাথা ন্যাড়া করছেন।

হুবেই প্রদেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সেবা ও নতুন করে যেন কেউ আক্রান্ত না হন সে চেষ্টায় গত ২ মাস ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন চিকিত্সক ও নার্সরা। টানা ডিউটি পালন করতে গিয়ে অনেক চিকিত্সক ও নার্স অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অনেককে বেইজিংয়ে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং নতুন করে চিকিত্সক এবং নার্স হুবেইয়ে পাঠানো হচ্ছে। চীনে চিকিত্সক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর কাজের চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। ভাইরাস মোকাবিলায় তাদের ত্যাগ ও নিষ্ঠার জন্য বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হয়েছে চীনের এক চিকিত্সক। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় প্রবল ব্যস্ততায় মাত্র ১০ মিনিটে নিজের বিয়ের অনুষ্ঠান সেরে হাসপাতালে ফিরে গেছেন করোনা আক্রান্তদের পাশে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, প্রবল ব্যস্ততার মধ্যেই বিয়ে করলেন লি ঝিকিয়াং নামের চীনের ঐ চিকিত্সক। যেহেতু করোনা ভাইরাসের বিস্তারের আগে থেকে বিয়ের তারিখ ঠিক হয়েছিল, তাই ঐ দম্পতি আর দেরি করতে চাননি। তবে বিয়ে করলেও তা তারা সেরেছেন কোনোমতে। বিয়েতে কেবল তাদের বাবা-মাই আমন্ত্রিত ছিলেন। লি ঝিকিয়াং নামের ঐ চিকিত্সক শানডং বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় হাসপাতালে কর্মরত। বরের এ সিদ্ধান্তকে সম্পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন স্ত্রী ইয়ু হোংগ্যান। চীনের সামাজিক মাধ্যম ওয়েইবোতে প্রকাশিত হয়েছে সেই বিয়ের ছবি। ছবিতে নবদম্পতিকে দেখা যাচ্ছে মুখে মাস্ক পরিহিত অবস্থায়। সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, রোগীদের সেবা দেওয়ার বদলে চিকিত্সকরাই এখন কোয়ারান্টাইন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের চিকিত্সায় আরো সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। বর্তমান অবস্থায় করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে চীন। শুধু চীনে নয় ইরানেও চিকিত্সা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা নতুন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। ইরানের উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী ইরাজ হারিরচি এবং সংসদ সদস্য মাহমুদ সাদেগির শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর চিকিত্সায় ব্যস্ত মা, দূর থেকে মেয়েকে আলিঙ্গনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। চীনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিত্সা দিতে রাতের ঘুম হারাম চিকিত্সক ও নার্সদের। তাদের অধিকাংশ সময় কাটছে হাসপাতালেই। রোগ এতটাই ছোঁয়াচে যে রোগীর সঙ্গে প্রায় এক ঘরে হয়ে গিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও। পরিবার ও প্রিয়জনদের থেকে আলাদা থেকে চিকিত্সা দেওয়া এক নার্সের সঙ্গে তার মেয়ের দূর থেকে আলিঙ্গনের আবেগঘন ভিডিও তাই ভাইরাল হয়। মা লিউ হাইয়ান করোনা ভাইরাস রোগীদের চিকিত্সায় ব্যস্ত। ৯ বছরের মেয়ের সঙ্গে দেখা নেই কয়েক দিন ধরে। ৩১ জানুয়ারি মেয়ে চেং শিওয়েনের সঙ্গে সর্বশেষ দেখা হয়েছে মা লিউয়ের। করোনা ভাইরাস সংক্রমিত রোগ হওয়ায় সুস্থ কারো সংস্পর্শে আসা যাবে না। কিন্তু মা ও ৯ বছরের শিশু মেয়ের তো দেখা হওয়া দরকার। মা লিউ হাইয়ানের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে আসে মেয়ে চেং শিওয়েন। দুই জনেরই মুখ ও মাথায় রোগ প্রতিরোধকারী মাস্ক। ছোঁয়াচে রোগে মেয়ে সংক্রমিত হতে পারে, তাই মা ও মেয়ে দূর থেকে দেখা ও কথা বলেছেন। মা ও মেয়ে একে অপরের সঙ্গে দূর থেকেই আলিঙ্গন করেছেন। লিউ মেয়েকে আশ্বাস দেন যে করোনা ভাইরাসের লড়াইয়ে জয়ী হয়ে তিনি বাড়ি ফিরে যাবেন। অনেকেই মা-মেয়ের এ ভালোবাসাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। মা ও মেয়ের দেখা হবে শিগগিরই, সে দোয়াও করেছেন অনেকেই। সামাজিক মাধ্যমে একজন লেখেন, এটা বেদনার ঘটনা। এটা মর্মস্পর্শী। আমার আশা, মা ও মেয়ে শিগগিরই আলিঙ্গন করবেন। সবাই এ রোগ থেকে দ্রুত মুক্তি পাবেন।