বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

চালের দাম লাগামহীন

অসাধু ব্যবসায়ীদের ধরতে সারাদেশে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ

আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২০, ২২:৩৬

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণকে পুঁজি করে দেশে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী লাগামহীনভাবে চালের দাম বাড়াচ্ছে। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে মানভেদে প্রতি কেজি চালে দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। এতে বিপাকে পড়েছে স্বল্প আয়ের মানুষ। খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের ধরতে          সারাদেশে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকেও বলা হয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ী চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গতকাল সোমবার রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল ৩৮ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়। অথচ গত সপ্তাহেই এই চালের কেজি ৩৪ থেকে ৪০ টাকা ছিল। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি মোটা চালে ৪ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। মাঝারি মানের চাল পাইজাম কেজিতে ৩ টাকা বেড়ে ৪৮ থেকে ৫৬ টাকা এবং সরু চাল মিনিকেট ও নাজিরশাইল প্রতি কেজিতে ৪ থেকে ৮ টাকা বেড়ে ৫৬ থেকে ৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশও (টিসিবি) তাদের দৈনন্দিন খুচরা বাজারদরের প্রতিবেদনে চালের দাম বাড়ার বিষয়টি তুলে ধরেছে।

দেশের সবচেয়ে বড়ো চালের মোকাম কুষ্টিয়া। গত শনিবার চালের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক চালকল মালিক সমিতির নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে মিল মালিকেরা চালের দাম আর বাড়বে না বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু চালের দাম ঠিকই বাড়ছে।

এদিকে চালের দাম বাড়ার বিষয়টি স্বীকার করে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার গতকাল ইত্তেফাককে বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। কোনোভাবেই চালের দাম কেজিতে ৭-৮ টাকা বাড়তে পারে না। অসাধু ব্যবসায়ীদরে ধরতে সারাদেশে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা যে অবৈধভাবে এত মুনাফা করছে, তারা কি এটা ভোগ করতে পারবে? তারা যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবে না, তার কি কোনো গ্যারান্টি আছে? লোভের ওপর লাগাম দিতে হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সরকারের গুদামে ১৭ লাখ ৬২ হাজার টন খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১ লাখ ৮৫ হাজার টন বেশি। তাই চালের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই।