বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সিলেটে দেড় মাসে এসেছে ৩০ হাজার কোয়ারেন্টাইনে ২ হাজার ১৭৬ জন

আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২০, ২৩:১৫

প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটের চার জেলায় গত দেড় মাসে অন্তত ৩০ হাজার প্রবাসী পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছেন। এর মধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন মাত্র ২ হাজার ১৭৬ জন। ফলে বাকি প্রবাসীর মাধ্যমে সিলেটে করোনা ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সিলেটের জেলা প্রশাসক কাজী এম. এমদাদুল ইসলাম জানান, তার জেলায় গত এক মাসে ১১ হাজার প্রবাসী সিলেটে এসেছেন। কিন্তু অধিকাংশের ঠিকানামতো পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে সিলেটবাসী ও প্রবাসীদের উদ্দেশে ভিডিওবার্তায় সতর্কতামূলক তথ্য মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

এদিকে সিলেটে করোনা পরীক্ষার ল্যাব, যন্ত্রপাতি, কিট নেই। শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে আইসিইউ ইউনিটও নেই। অথচ প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটকে করোনা সংক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ১০০ শয্যাবিশিষ্ট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিট রয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে সিলেট বক্ষব্যাধি হাসপাতাল ও শাহপরান (র) হাসপাতালকে। তবে এসবের কোথাও  আইসিইউ সুবিধা নেই। 

অন্যদিকে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে আইসোলেশনে থাকা রোগীদের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে আইইডিসিআর-এর জন্য। ঢাকা থেকে লোক এসে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় নিয়ে যেতে সময়ক্ষেপণ হচ্ছে।

২ হাজার ১৭৬ জন কোয়ারেন্টাইনে : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেটের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান জানান, মঙ্গলবার পর্যন্ত সিলেটে নতুন করে হোম কোয়ারেন্টাইনে গেছেন ৩২৮ জন। এ নিয়ে বিভাগে হোম কোয়ারেন্টাইনে গেছেন ২ হাজার  ১৭৬ জন। সিলেট জেলায় ৮১৩ জন। সুনামগঞ্জে ৩৪৫ জন, হবিগঞ্জে ৫৬০ জন এবং মৌলভীবাজারে ৪৫৮ জন।  ডা. আনিস বলেন, শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন দুই জন। এর আগে গতকাল তিন জনের করোনা ভাইরাস টেস্ট নেগেটিভ আসায় তাদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে বাসায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।

১১ হাজার প্রবাসীর ঠিকানা থাকলেও অনেককেই পাওয়া যাচ্ছে না : সিলেট জেলায় বিদেশফেরত লোকেরা যে ঠিকানা উল্লেখ করেছেন, সেসব ঠিকানায় গিয়ে অনেককেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক কাজী এম এমদাদুল ইসলাম। গত এক মাসে ১১ হাজার প্রবাসী দেশে ফিরেছেন। তাদের সকলের ঠিকানামতো পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। কোথাও কোথাও সতর্ক ও জরিমানাও করছেন। তবে অধিকাংশেরই ঠিকানায় গিয়ে পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে গত সোমবার সিলেট বিভাগের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।