শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

জিডিপির ১০ শতাংশের সমান বিশেষ তহবিল দরকার :টিআইবি

আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২০, ২২:৫৬

করোনা ভাইরাস উদ্ভূত মহাসংকট মোকাবিলায় স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি জাতীয় কৌশল প্রণয়ন, জিডিপির অন্তত ১০ শতাংশের সমপরিমাণ বিশেষ তহবিল গঠন এবং এই কৌশল বাস্তবায়ন ও তহবিল ব্যবহারে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। গতকাল শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংস্থাটি এ কথা বলেছে।

জাতির উদ্দেশে ২৫ মার্চ দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে আখ্যায়িত করে সম্মিলিতভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার যে ডাক দিয়েছেন, তার প্রতি একাত্মতা জানিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, হোম কোয়ারেন্টাইনে দেশবাসীকে পাঠিয়ে           নিতান্তই অপ্রতুল ও বিক্ষিপ্ত কিছু প্রতিরোধমূলক কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করে হাতগুটিয়ে বসে থাকার সময় নেই। এখনই সংশ্লিষ্ট দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সম্পৃক্ত করে একটি সমন্বিত স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা সংবলিত জাতীয় কৌশল চূড়ান্ত করতে হবে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ চিহ্নিত করা ও চিকিত্সার সক্ষমতা বাড়াতে হবে এবং সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। চিকিত্সক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে ও তাদের অমূল্য অবদানের উপযুক্ত সম্মান দিতে হবে।

রপ্তানি সংশ্লিষ্টখাতের শ্রমিক ও হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য যে উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন তাকে সাধুবাদ জানিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, কীভাবে এর বাস্তবায়ন হবে, বরাদ্দকৃত অর্থ কোন প্রক্রিয়ায় শ্রমিকদের হাতে যাবে এবং এক্ষেত্রে কীভাবে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে, তার সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া এখনই নির্ধারণ করতে হবে।

তিনি বলেন, সংকটের সময়ে খাদ্যপণ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর সরবরাহ-লাইন প্রাধান্যের সঙ্গে সচল রাখতে হবে, তা না হলে কোভিড-১৯ এর পাশাপাশি কোয়ারেন্টাইনই মানুষের ক্ষুধা ও মৃত্যুর কারণ হবে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে নিয়োজিত পুলিশের একাংশের বিভ্রান্ত ও অশোভন বলপ্রয়োগ সংকট ঘনীভূত করছে, যা বন্ধ করতে হবে।

এ ধরনের দুর্যোগে সরকার ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বের পাশাপাশি ক্ষমতা বাড়বে—এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই ক্ষমতার উত্সও জনগণ। সীমালঙ্ঘন করে ক্ষমতার অপব্যবহার করা আত্মঘাতী হয়, সরকারকে তা বিবেচনায় রাখতে হবে।

অন্যদিকে, সরকারি প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত তথ্যের ব্যাপারে আস্থাহীনতার সুযোগে গুজব ছড়াচ্ছে, যা জনমনে আতঙ্ক আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। সংক্রমণ, প্রাণহানি, চিকিত্সা প্রদান ও সুস্থ হওয়ার সংখ্যাসহ প্রতিরোধ ও প্রতিকারমূলক সকল কার্যক্রমের তথ্য কোনো প্রকার রাখঢাক না করে প্রকাশ করাটা জরুরি। তাতে জনগণ অধিকতর সতর্ক হওয়ার সুযোগ পাবেন। এতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওপর জনগণের আস্থা বাড়বে।