মোবাইল ফোনে পরিচয়, এরপর প্রেম ধীরে ধীরে গড়ায় শারীরিক সম্পর্কে। এক পর্যায়ে সটকে পড়েন প্রেমিক। পরে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে থানায় মামলা হলে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে প্রেমিক যান কারাগারে। এর পরও শেষ রক্ষা হয়নি প্রেমিক সজিব হোসেন লিটনের। বহু ঘাটের জল ঘোলা করে অবশেষে আদালতের নির্দেশে বিয়ে করতে হয়েছে প্রবাসীর তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে। গত মঙ্গলবার কুমিল্লার আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটরের (পিপি) অফিসকক্ষে ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে পড়ান কাজী মওলানা মো. অলি উল্লাহ ভূঁইয়া। এদিন কনে বাড়ি গেলেও বর সজিব হোসেন লিটন জামিনের আইনিপ্রক্রিয়া শেষে গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান। কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শাহজাহান আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ভাঙ্গাপুস্করনী গ্রামের এক তরুণীর বিয়ে হয় একই উপজেলার এক সৌদি প্রবাসীর সঙ্গে। তাদের চার বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। ২০১৫ সালে প্রবাসীর স্ত্রীর (২৫) সঙ্গে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় একই উপজেলার পারুয়ারা গ্রামের সজিব হোসেন লিটনের (৩০)। এক পর্যায়ে লিটন বিয়ের প্রলোভনে ঐ গৃহবধূর সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। এ সময় লিটন গোপনে ঐ নারীর আপত্তিকর কিছু ছবি ও ভিডিও ধারণ করে পরে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে তার নিকট থেকে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু লিটনের চাহিদা অনুযায়ী আরো টাকা না দেওয়ায় আপত্তিকর ভিডিও তার প্রবাসী স্বামীর পরিবারের কাছে পাঠায়। এতে স্বামী তাকে তালাক দেন। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী গত অক্টোবর মাসে চৌদ্দগ্রাম থানায় ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে লিটনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায়। পরে উভয় পক্ষের আইনজীবীদের মাধ্যমে বিষয়টি আপস করার কথা উঠলে ঐ নারী বিয়ের শর্তে আপসে রাজি হন। মঙ্গলবার উভয়পক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কুমিল্লা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাব উল্লাহ আপসের শর্তে লিটনকে জামিনের আদেশ দেন এবং আদালত ক্যাম্পাসে বিয়ের নির্দেশনা দেন।