শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

খুলনায় গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট

আপডেট : ০১ মার্চ ২০২১, ২২:৫৯

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, কার্টুনিস্ট কিশোরের মুক্তি, সাত ছাত্রনেতাসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক রুহুল আমিনের মুক্তির দাবিতে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা অবস্থান ধর্মঘট ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। গতকাল সোমবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খুলনা প্রেস ক্লাবের সামনে তারা অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন।

এ সময় বক্তারা রুহুল আমিনের মুক্তি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি করেন। তারা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে মানুষের বাক্স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। কিছু বলতে গেলেই সরকার ও পুলিশের নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে।

ঐক্য পরিষদের  আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ দোলন বলেন, সরকারের সমালোচনা করায় ঐ আইনে লেখক মুশতাক আহমেদ ও কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দীর্ঘ ১০ মাসের মতো কারাগারে থাকার পর কারাগারেই মারা গেছেন মুশতাক আহমেদ। কিশোরের অবস্থাও ভালো নয়। আবার এটা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নতুন করে একই আইনে মামলার শিকার হয়েছেন রুহুল আমিন। তারা অবিলম্বে রুহুল আমিনের মুক্তি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানান।

কর্মসূচিতে আরো বক্তৃতা করেন, মুক্তি কাউন্সিলের হুমায়ুন কবির, চলচ্চিত্রকর্মী মিহির কান্তি মণ্ডল, মাতঙ্গী নাট্যদলের সদস্য জয়ন্তী, ছাত্র-যুব আন্দোলনের খুলনা মহানগরের সহআহ্বায়ক মেহেরুন নাহার, বিপ্লবী ছাত্র আন্দোলনের সুমাইয়া রহমান, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল বিশ্বাস, ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সদস্য আলামিন প্রমুখ।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আদালত অভিমুখে যাত্রা করেন। মিছিলটি খুলনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) কার্যালয়ের প্রবেশমুখে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পুলিশের সঙ্গে বাগিবতণ্ডার একপর্যায়ে তারা ভেতরে ঢুকতে সক্ষম হন। পরে তারা সেখানেই অবস্থান নেন। গতকাল সোমবার রুহুল আমিনকে শুনানির জন্য আদালতে আনা হয়। পরে শুনানি না হওয়ায় ২টার দিকে রুহুল আমিনকে জেলহাজতে প্রেরণ করা পর্যন্ত তারা সেখানে ছিলেন। মিছিলে ব্যাপক সংখ্যক পাটকল শ্রমিক অংশ নেন।