শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কার্টুনিস্ট কিশোরের জামিন শুনানি কাল

আপডেট : ০১ মার্চ ২০২১, ২৩:০৪

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরের জামিন আবেদনের ওপর ৩ মার্চ পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছে হাইকোর্ট। ঐদিন একই মামলার আসামি লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুজনিত তথ্য হলফনামা আকারে আদালতে দাখিল করতে তার আইনজীবীকে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত জামিন আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল সোমবার এই আদেশ দেন।

আদালতে কিশোরের জামিন আবেদনের পক্ষে আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী শুনানি করেন। শুনানিতে জ্যোর্তিময় বড়ুয়া দাবি করেন, কারাগারে কার্টুনিস্ট কিশোরের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি বলেন, সাইবার ট্রাইব্যুনাল অভিযোগপত্র গ্রহণ না করে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই রিপোর্ট ২৩ ফেব্রুয়ারি জমা দেওয়ার কথা ছিল। সেদিন আসামি মুশতাক আহমেদ ও     আহমেদ কবির কিশোরকে মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। হাজির করার পর কিশোর আমাদের জানিয়েছেন, তাকে কাস্টডিতে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। নির্যাতনের কারণে তার ডান কান প্রায় অকেজো হয়ে পড়েছে। নির্যাতনের কারণে বাঁ পায়ে ক্ষত সৃষ্টি হয়ে, সেটা এখন ঘায়ের পর্যায়ে চলে গেছে। এসব বিষয় মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন শুনানির সময়ও মৌখিকভাবে বলা হয়েছে। কিন্তু জামিন হয়নি। একজন আসামি মারা গেলেন অসুস্থতার কারণে। একজন স্বনামধন্য কার্টুনিস্ট, তার যথেষ্ট অবস্থান আছে। তার চাইতেও বড় কথা তিনি চরমভাবে অসুস্থ। তার মধ্যেও গতকাল রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল। চার্জশিট দাখিল করার পর কোন আইনে তারা রিমান্ড আবেদন করেছেন, জানি না। রিমান্ডের আবেদন করলে আসামিকে হাজির করতে হয়। কিন্তু আসামিকে হাজির না করেই শুনানি হয়েছে। আমি ধরে নিয়েছিলাম আসামিকে হাজির করা হবে। তাই আসামির তরফ থেকে একটি আবেদন ছিল যে, ‘নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩ অনুযায়ী পুলিশ কাস্টডিতে তাকে (কিশোর) নির্যাতন করা হয়, সেটা ফৌজদারি অপরাধ। কিন্তু যেহেতু তাকে জেলখানা থেকে আনেনি, ফলে ওই আবেদনটি আর উত্থাপনের সুযোগ পাইনি।

জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, লেখক মুশতাক আহমেদ গত ২৫ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের হাই সিকিউরিটি জেলে মৃত্যুবরণ করেছেন। আদালত বলে, এটা হলফনামা করে বললে ভালো হয়। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেনও বলেন, মৃত্যুর বিষয়টি হলফনামা করে বললে আবেদনটি বাতিল হয়ে যাবে। আদালত বলেন, অ্যাবেট যেহেতু হয়ে যাচ্ছে, তাই এর রেকর্ড থাকা দরকার। যে কারণে হলফনামা করে বলতে হবে। আমরা বুধবার আদেশের জন্য রাখছি। সেদিন একটি হলফনামা নিয়ে আসুন।