হেফাজতে ইসলামের আরো দুই নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও র্যাব। এদের মধ্যে আছেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ূবী ও ঢাকা মহানগরের সহ-দপ্তর সম্পাদক ও ইসলামী ছাত্রসমাজের সেক্রেটারি মাওলানা ইহতেশামুল হক। এদিকে সোনারগাঁওয়ে রিসোর্ট ভেঙে তাকে উদ্ধারের জন্য বলেছিলেন মামুনুল হক।
খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ূবীকে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে মানিকগঞ্জের সিংগাইর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র?্যাব। র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মইন হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে নাশকতা ও সহিংসতার ঘটনায় পল্টন থানায় রুজুকৃত মামলার আসামি হিসেবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মাওলানা ইহতেশামুল হককে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তেজগাঁও বিভাগ। গতকাল সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহাবুব আলম। তিনি বলেন, ‘বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর বংশাল এলাকা থেকে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগরের সহ-দপ্তর সম্পাদক ইহতেশামুল হককে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছে।’
ডিবি সূত্র জানিয়েছে, মাওলানা ইহতেশামুল হক সাখীর বিরুদ্ধে হেফাজতের সাম্প্রতিক তাণ্ডবে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা।
এর আগে গত বুধবার হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর শাখার সহসভাপতি এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর খুরশিদ আলম কাসেমীকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এছাড়া হেফাজতের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, ঢাকা মহানগরীর সহসাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব আতাউল্লাহ আমীনকে গ্রেফতার করে র্যাব। এতে করে এখন পর্যন্ত সংগঠনটির ১৫ জন কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেফতার হয়েছেন।
এদিকে সোনারগাঁওয়ে রিসোর্টে নারীসহ জনতার হাতে অবরুদ্ধ হেফাজতের নেতা মামুনুল হক অনুসারিদের জানিয়েছিলেন, রিসোর্ট ভেঙে তাকে যেন উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তার আহ্বানে মামুনুলের অনুসারীরা এসে মূল গেটসহ পুরো রিসোর্টে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে তারা মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
সিআইডি প্রধান পুলিশের অতিরিক্ত আইজি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এরই মধ্যে রিসোর্টে হামলার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে। সোনারগাঁও থেকে স্থানীয় হেফাজতের যেসব নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছেন তারাও বেশকিছু তথ্য দিয়েছেন। মামুনুল হককে খুব শিগগিরই গ্রেফতার দেখানো হবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হতে পারে রিমান্ডে।