ওয়াসার পানি বিশুদ্ধ বলে দাবি করলেও ওই পানি দিয়ে তৈরি শরবত খেতে নারাজ ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান। বিডিনিউজকে তিনি জানান, অন্য কারো হাতে বানানো শরবত তিনি খাবেন না। মিজানুরের নিয়ে আসা শরবত খাওয়ারও কোনো প্রশ্ন আসে না। আমি তো খাব আমার পানি। আমি কোনটা খাব না খাব; সেটা তো আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তিনি বলেন, তাদের পানিতে যদি ময়লার অভিযোগ থাকে, তাহলে তারা পরিচালকের সঙ্গে কথা বলতে পারে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর জুরাইনের বাসিন্দা মিজানুর রহমান পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ওয়াসার এমডিকে শরবত খাওয়ানোর জন্য পানি, লেবু, চিনি নিয়ে ওয়াসা ভবনে আসেন। এসময় ওয়াসা এমডি অফিসে ছিলেন না। তার দেখা না পেয়ে ওয়াসা ভবনের সামনে শরবত নিয়ে অবস্থান গ্রহণ করেন মিজানুর। এসময় সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ও সন্তান ছিল। এরপর তাঁর সঙ্গে বৈঠকে বসেন ওয়াসার পরিচালক এ কে এম সহিদ উদ্দিন।
মিজানুর রহমানের অভিযোগ শুনে ওয়াসার পরিচালক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। মিজানুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে সহিদ উদ্দিন বলেন, ওয়াসার পানি খেয়ে কেউ অসুস্থ হলে তার দায়-দায়িত্ব নেবে ওয়াসা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবেও বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন ওয়াসা পরিচালক। তবে ওয়াসার বাইরে অন্যদের লাইনে খোঁড়াখুঁড়ির কারণে পানিতে ময়লা আসে বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে বৈঠক শেষে মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ওয়াসার এমডির সঙ্গে সাক্ষাত্ করতে এসেছিলাম। তার দেখা পাইনি। তবে পরিচালক আমাদের অভিযোগ শুনেছেন। দ্রুত সমাধান করবেন বলে জানিয়েছেন। আমরা দেখবো তারা কী করেন। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান না হলে জুরাইনবাসীসহ রাজধানীবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে জানিয়ে ওয়াসা ভবন ত্যাগ করেন তিনি।
পানি খেয়ে কেউ অসুস্থ হলে দায় নেবে কর্তৃপক্ষ
পরে সাংবাদিকদের ওয়াসা পরিচালক বলেন, তাদের পানি বিশুদ্ধ। পানি উত্পন্ন স্থল, রিজার্ভে দেওয়ার আগে ও পরে তিন দফা পরীক্ষা করা হয়। পানিতে মানুষের জন্য ক্ষতিকর বিশেষ করে ‘ইকোলাই’ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ক্লোরিন দিয়ে তা বিশুদ্ধ করা হয়। তবে পানি যদি ময়লা আসে তাহলে তা পাইপলাইনে সমস্যার কারণে। ওয়াসার পানি খেয়ে কেউ অসুস্থ হলে তার দায়-দায়িত্ব নেবে ওয়াসা। কোথাও সমস্যা হলে তা ওয়াসার নজরে আনার আহ্বান জানান তিনি।