কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক রাম দা দিয়ে কুপিয়ে সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদকের হাতের চারটি আঙুল বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে কলারোয়া হাসপাতালের অভ্যন্তরেই এ ঘটনা ঘটে।
জমি দখল করা নিয়ে গত দুই দিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছিলো বলে প্রতাক্ষদর্শীরা জানান। আহত তুষার জানান, কলারোয়া পৌর সদরের মুরারীকঠি গ্রামে জমি তার জমি আছে। সদ্য সমাপ্ত উপজেলা নির্বাচনের পর প্রতিপক্ষ উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান নাইস ওই জমি দখল করার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার দুই জনের মধ্যে মারামারিও হয়। এতে তিনি (তুষার) আহত হয়ে কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি হন। গতকাল দুপুরে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাগর হোসেনের নেতৃত্বে নাইসসহ আরো ৫/৬ জন হাসপাতালের দোতলার বেড থেকে তাকে ডেকে নিচে নিয়ে আসেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে নাইস রাম দা দিয়ে তার মাথায় কোপ মারতে যান। এসময় ডান হাত দিয়ে তিনি নিজেকে রক্ষা করতে গেলে হাতের চারটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এসময় নাইসের সহযোগি শহীদুলও আহত হন। খবর পেয়ে তুষারের বাবা ও চাচা তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর ও পরে খুমেক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাগর হোসেন বলেন, তুষার দলীয় পরিচয়ে এলাকায় জমি দখল, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিলেন। এই কারনে তাকে ছাত্রলীগের পদ থেকে বহিস্কার করা হয়। জমি দখল নিয়ে গত দুই দিন আগে তুষারের সঙ্গে নাইসের ঝগড়া হয়। তুষার সে সময় নাইসের সহযোগী মন্টু, পলাশ ও সিজানকে মারপিট করে আহত করে এদের নামে মামলা দেয়ার জন্য উল্টো নিজে হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হন। এ নিয়ে গতকাল হাসপাতালে দুই পক্ষের ফের মারামারি হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি নিজে জড়িত নন বলে দাবি করেন। অন্যদিকে কথা বলতে চাইলে নাইসের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মনিরুজ্জামান বলেন, মামলা হলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।