নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে ৫ রোগী আহত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল পৌনে সাতটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পলেস্তারার আঘাতে শিশুদের শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে ও থেঁতলে যায়। এ ঘটনায় তাদের ৪ স্বজনও আহত হন। এ সময় ২৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে রোগী ও স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আহত শিশু রোগী ও তাদের স্বজনরা হলেন: সুমাইয়া (১২), ইসমাইল (৫), ইমাম উদ্দীন (৫ মাস), রাসেল (১৬ মাস), রাফি (আড়াই বছর), বাদশা (৩৫), পারুল বেগম (৪৭), রোজিনা আক্তার (২০) ও মো. ইব্রাহিম (৫০)। এ ঘটনার পর ওয়ার্ডে কর্তব্যরত নার্স ও অন্য রোগীর স্বজনরা মিলে তাদের দ্রুত উদ্ধার করেন। জরুরি বিভাগে চিকিত্সা দেওয়ার পর তাদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সকাল পৌনে ১০টার দিকে জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। এ সময় তিনি ভবনটির দ্বিতীয় তলার চারটি ওয়ার্ড খালি করে সিলগালা করতে এবং পাশের নির্মাণাধীন নতুন টিনশেডে রোগীদের স্থানান্তরের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. খলিল উল্যাহ বলেন, ২০১৫ সালে হাসপাতালের পুরাতন এই দ্বিতল ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছিল গণপূর্ত বিভাগ। কিন্তু হাসপাতালে রোগীর চাপ বেশি হওয়ায় বাধ্য হয়ে তারা ঐ ভবনে চিকিত্সাসেবা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি জানান, আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিত্সা দেওয়া হচ্ছে। তারা বর্তমানে সবাই ভালো আছে। দুর্ঘটনার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তাত্ক্ষণিক জানানো হয়েছে। সকাল থেকে শিশু ও মেডিসিন ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে এবং শিশু ওয়ার্ডের রোগীদের নতুন টিনশেডে স্থানান্তর করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১২ জুলাই একই ভবনে একটি ওয়ার্ডের ছাদ ধসে দুই নার্সসহ কয়েক জন আহত হয়েছিল। এছাড়া বিভিন্ন সময় ওই ভবনে আরো বেশ কয়েকবার পলেস্তারা খসে পড়ে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে জেলা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুল ইসলাম জানান, গত বছরের প্রথম দিকে হাসপাতালের পুরাতন ভবন ভেঙে ১০ তলাবিশিষ্ট একটি নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ৯৭ কোটি টাকার প্রাক্কলন ব্যয় ধরে বরাদ্দের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়। কিন্তু এর কোনো অগ্রগতি নেই।
চাখার হাসপাতালে পলেস্তারা খসে পরিচ্ছন্ন কর্মী আহত
বানারীপাড়া (বরিশাল) সংবাদদাতা জানান, গতকাল সকালে চাখার দশ শয্যার হাসপাতালের নিচ তলার একটি কক্ষে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে হাসিনা নামে এক পরিচ্ছন্ন কর্মী আহত হয়েছেন। জানা গেছে, হাসপাতালের বিভিন্ন কক্ষে ছাদ থেকে প্রায়ই পলেস্তারা খসে পড়ে। সামান্য বৃষ্টি হলে পানি জমা হয়ে ফ্লোর সয়লাব হয়ে যায়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখানে কাজ করছেন চিকিত্সক-নার্সরা। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এস এম কবির হাসান জানান, হাসপাতালের বেহাল দশার ব্যাপারে অনেকবার স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আশানুরূপ কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।