বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ভিনগ্রহের প্রাণী দেখতে যুক্তরাষ্ট্রে ফেসবুক ইভেন্ট

আপডেট : ১৮ জুলাই ২০১৯, ২১:৫২

এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে বিজ্ঞানীরা ভিনগ্রহী প্রাণী বা এলিয়েনের সন্ধান করে চলেছেন। কেউ বলছেন, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের কোথাও না কোথাও এলিয়েন বলে নিশ্চয়ই কিছু একটা আছে, আবার কেউ বলছেন এই দাবি একেবারেই অবাস্তব। তবে এলিয়েনের অস্তিত্ব সম্পর্কে এখনও কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের একদল মানুষ এবার এলিয়েন দেখার জন্য একটি ফেসবুক ইভেন্ট খুলে হইচই ফেলে দিয়েছে। আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের ঐ ইভেন্টে যোগ দিতে ইতিমধ্যে ১৬ লাখের বেশি মার্কিনি সাইন আপ করেছেন। আগ্রহ প্রকাশ করেছেন আরো ১০ লাখের বেশি মানুষ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক মানুষ মনে করেন, কোনো এক সময় হয়তো যুক্তরাষ্ট্রে নেমে এসেছিল এলিয়েন। সরকার তাদের নেভাডার এরিয়া ৫১ নামের একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে লুকিয়ে রেখেছে। এই ধারণায় বিশ্বাসী মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তাই এলিয়েন দেখার আশায় সেই এরিয়া ৫১ এ যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন মানুষ। সেখানে যেতেই               মূলত খোলা হয়েছে ইভেন্ট। ইভেন্টের নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্টর্ম এরিয়া ৫১, দে ক্যান্ট স্টপ অল অব আস’। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে লোকজনকে সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়েছে, কেউ যেন এরিয়া ৫১ এর ধারে-কাছেও না যায়। বিমানবাহিনীর একজন মুখপাত্র ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন, তারা এই ইভেন্ট হতে দেবেন না। তিনি বলেন, ‘আমরা আমেরিকা ও তার সম্পদ রক্ষার জন্য প্রস্তুত।

নেভাডার এই এলাকাটি বিমানবাহিনীর অত্যন্ত গোপনীয় একটি ঘাঁটি কিন্তু ইভেন্টে সই করা বহু মানুষ বিশ্বাস করে সেখানে ভিনগ্রহ থেকে আসা প্রাণীদের রাখা হয়েছে। বিমানবাহিনীর সতর্কতাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না উত্সাহীরা। হাজার হাজার মানুষ সেখানে মন্তব্য করেছেন এরকম: ‘আমরা তাদের বুলেটের চেয়েও দ্রুতগতিতে ছুটতে পারি। এলিয়েনদের দেখতে দাও।’

তবে ফেসবুকে এই ইভেন্টের একজন আয়োজনকারী জ্যাকসন বার্নেস ইভেন্ট পাতায় সরকারকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, ‘এটা একটা কৌতুক। এই পরিকল্পনা নিয়ে সামনে এগুনোর কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই। আমি শুধু ভেবেছি এটা খুব মজার বিষয় হবে। এখন লোকজন যদি সত্যিই এরিয়া ৫১-এ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে আমি এর জন্য দায়ী হব না।’ কিন্তু বিমানবাহিনী এরকম একটি ইভেন্টকে এখন আর মজার বিষয় হিসেবে নিচ্ছে না।

নেভাডার এই এরিয়া ৫১ সম্পর্কে ২০১৩ সাল পর্যন্ত জনগণকে কিছুই জানানো হয়নি। এর আগে এই এলাকাটিকে গোপন রাখা হয়েছিল। কিন্তু ইউ-টু নামের একটি গোয়েন্দা বিমানের ব্যাপারে গোপন তথ্য প্রকাশ করতে গিয়ে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ প্রথমবারের মতো এরিয়া ৫১-এর কথা স্বীকার করে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই এলাকাটিকে ঘিরে এতো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও গোপনীয়তা রক্ষা করা হয় বলেই হয়তো সেখানে এলিয়েন লুকিয়ে রাখার মতো ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্বের’ জন্ম হয়েছে।-বিবিসি