শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

এশিয়ার অর্থনীতির জন্য বড়ো ঝুঁকি হতে পারে :এডিবি

আপডেট : ১৮ জুলাই ২০১৯, ২১:৫৫

বাণিজ্য নিয়ে চীন-মার্কিন বিরোধকেই এশিয়ার অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি উল্লেখ করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এশিয়ার হালনাগাদ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস প্রতিবেদনে এডিবি উল্লেখ করেছে, এ বছর শেষ নাগাদ এশিয়ার মোট দেশজ উত্পাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ যা ২০২০ সালে কিছুটা কমে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। এপ্রিলে এশিয়ার অর্থনীতির পূর্বাভাস প্রতিবেদন প্রকাশের পর গতকাল বৃহস্পতিবার হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। মোটাদাগে এশিয়ার অর্থনীতি নিয়ে আগের পূর্বাভাস রাখলে এশিয়ার শিল্পসমৃদ্ধ দেশ চীন, কোরিয়া, সিঙ্গাপুর এই অঞ্চলের প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ দশমিক ১ শতাংশের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে নতুন প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে এডিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ ইয়াসুয়াকি সাওয়াদা বলেছেন, চীন-মার্কিন বাণিজ্য বিরোধ চলমান থাকার পরেও এশিয়া শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে। যদিও দুই দেশ বাণিজ্য বিরোধ কমাতে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে এর পরেও অনিশ্চয়তার কারণে এশিয়ার অর্থনীতিতে ঝুঁকি রয়েছে।

এডিবি পূর্ব এশিয়ার অঞ্চলের দেশগুলোর প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। বিশেষ করে কোরিয়ার অর্থনীতির গতি ধীর হওয়ায় এমনটি আশঙ্কা করা হয়েছে। ২০২০ সালে এই অঞ্চলের প্রবৃদ্ধি আরো কিছুটা কমে সাড়ে ৫ শতাংশে দাঁড়াতে পারে।

দক্ষিণ এশিয়ার শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে এডিবি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এবছর দক্ষিণ এশিয়ায় ৬ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে যা ২০২০ সালে আরেকটু বেড়ে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পারে। তবে ভারতের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কিছুটা কমিয়ে ৭ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে যা ২০২০ সালে ৭ দশমিক ২ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। সরকারি হিসাবে বাংলাদেশে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির সাময়িক হিসাব দেওয়া হয়েছে। এডিবির প্রতিবেদেন বলা হয়েছে, মূলত শিল্প ও সেবা খাতের মাধ্যমেই এই প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বাংলাদেশ। তাছাড়া, জিডিপির তুলনায় বিনিয়োগ আগের অর্থবছর ৩১ দশমিক ২ শতাংশ হতে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৩১ দশমিক ৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, উদীয়মান দেশগুলোতে এ বছর মূল্যস্ফীতির হার বাড়তে পারে। আগের হিসাবে আড়াই শতাংশ মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, এবার এটা বাড়িয়ে ২ দশমিক ৬ শতাংশ করা হয়েছে। বিশেষ করে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি এর একটি কারণ হতে পারে।