বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মালয়েশিয়াগামী বোট ৭০ যাত্রী নিয়ে নিখোঁজ

আপডেট : ১৮ জুলাই ২০১৯, ২১:৫৫

উখিয়ার উপকূলীয় এলাকায় সংঘবদ্ধ মানব পাচারকারী চক্র আবারও তত্পর হয়ে উঠেছে। এসব মানবপাচারকারীর মূল টার্গেট রোহিঙ্গা নাগরিক। তারা নামমাত্র টাকা নিয়ে কৌশলে নৌকায় তুলতে পারলেই হলো। সম্প্রতি ৭০ জন যাত্রীবোঝাই মালয়েশিয়াগামী একটি ফিশিং বোট প্রায় ২৫ দিন ধরে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় স্বজনহারা উত্তর সোনারপাড়া গ্রামের ফরিদ আলম বাদী হয়ে বুধবার ১৭ জুলাই পাঁচ জন দালালকে আসামি করে উখিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, উখিয়ার উপকূলীয় এলাকা সাগরপথে মানব পাচারের অন্যতম মাধ্যম। সোনারপাড়া গ্রামের জালাল আহম্মদ, ইউসুফ নুর প্রকাশ বাবুল, মো. জাহাঙ্গীর (৩২), মো. আলমগীর, নুরনবী, মো. মোস্তাকসহ সংঘবদ্ধ একটি চক্র। গত এক মাসে এই চক্র তিন-চারটি চালান সাগরপথে পাচার করেছে বলে তিনি দাবি করেন। মামলার বাদী ফরিদ আলম জানান, তার ছেলে খায়রুল আমিন ইনানী বিচ এলাকায় ডাব বিক্রি করে আসছিল দীর্ঘদিন থেকে। হঠাত্  করে ছেলে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে এলাকায় খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, রোহিঙ্গা নাগরিকসহ ৭০ জন যাত্রী নিয়ে একটি ফিশিং বোট ২৫ জুন রাতে রেজুর মোহনা দিয়ে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়ে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী সোনারপাড়া গ্রামের শাহ আলম ও রশিদ আহম্মদ জানান, খায়রুল আমিনসহ প্রায় ৭০ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে তারা নৌকায় উঠতে দেখেছেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিক আহম্মদ জানান, এসব পেশাদার মানব পাচাকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে স্বজনহারাদের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকবে। নিখোঁজ খাইরুল আমিনের ভাই নুরুল আমিন জানায়, সর্বশেষ ৩০ জুন তার ভাইয়ের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হওয়ার পর থেকে আর কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। তারা জেলেদের মুখে শুনেছে, মালোশিয়াগামী একটি ফিশিং বোট গভীর সাগরে বিকল হয়ে ডুবে গেছে। হয়তো তার ভাই খাইরুল সে বোটেই ছিল। উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের জানান, মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।