নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে থানা হেফাজতে আব্দুল্লাহ আল মামুন (২২) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গরু চুরির অভিযোগে শনিবার দুপুরে তাকে আটক করে হাজতে রাখার পর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সে হাজতখানার কাঁথা ছিড়ে গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে আব্দুল্লাহ আল মামুনের পরিবার ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, তাকে থানায় পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী সন্ধ্যা ৭টায় থানা ঘেরাও ও ভাঙচুর করেছে। এদিকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহত আব্দুল্লাহ আল মামুন উক্ত উপজেলার সদর ইউনিয়নের যদুমনি গ্রামের মৃত হুজুর আলীর ছেলে।
কিশোরগঞ্জ থানার ওসি হারুন অর রশীদ বলেন, সদর ইউনিয়নের কেসবা তেলীপাড়া এলাকার মৃত জোবান উদ্দিনের ছেলে আব্দুস কুদ্দুসের দামুর গরু চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী গরুসহ আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আটক করে। এরপর ওই এলাকার সংরক্ষিত ইউপি সদস্য নার্গিস বেগমের বাড়িকে তাকে রাখা হয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ দুপুরে গরুসহ আব্দুল্লাহকে থানায় নিয়ে আসে। এরপর তাকে থানা হাজতে রাখা হয়। এ ব্যাপারে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আসামি করে গরু চুরির মামলা হয়। মামলার বাদি ঐ থানার এসআই জাহিদ হাসান। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে হাজতখানায় ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পাওয়া যায়। সে কাঁথা ছিড়ে গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য নীলফামারী মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) অশোক পাল।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় ইউডি মামলা হয়েছে। পাশাপাশি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।