শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গভীর চক্রান্ত শুরু হয়েছে :ফখরুল

আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২২:৪০

৫৮১ দিন যাবত্ কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আসাম ইস্যুতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গভীর চক্রান্ত শুরু হয়েছে। আসাম থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের খুঁজে বের করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, স্বাধীনতার পরে কোনো বাংলাদেশি ভারতে যায়নি। বাংলাদেশকে আবারও বিপদগ্রস্ত করার জন্য গভীর চক্রান্ত শুরু হয়েছে।

সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সামনে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে এবং সামনে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলে এই জালেম সরকারকে পরাজিত করতে হবে। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। তাঁর ডায়াবেটিস বেড়ে গেছে। গায়ের ব্যথা বেড়ে গেছে। তিনি কারো সাহায্য ছাড়া হাঁটতে পারেন না, হুইল চেয়ারে চলছেন। কিন্তু এই সরকার, তার কর্মকর্তা এবং ডাক্তাররা বলছেন তিনি নাকি সুস্থ হয়েছেন। মূলত তিনি একেবারেই সুস্থ নন। আমরা তাঁর সুচিকিত্সার জন্য মুক্তি দাবি করছি। নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হচ্ছে না মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে সরকার রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে পারছে না। কারণ তাদের সেই বৈধতা নেই, সাহস নেই।

মানববন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে আদালতে বিচারকরা মুক্ত মনে কাজ করতে পারছে না। তাই খালেদা জিয়ার মুক্তি একমাত্র রাজপথেই আন্দোলনের মাধ্যমে  আমরা অর্জন করতে পারি। অন্যথায় সম্ভব হবে না।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, যে আদালত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বাইরে এককদম হাঁটতে পারে না, সেই আদালতের ওপর নির্ভরশীলতা আর বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি রাখা একই কথা।

এতে আরো বক্তব্য রাখেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মজিবুর রহমান সরোয়ার, খায়রুল কবির খোকন, আফরোজা আব্বাস প্রমুখ।