শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ভারত থেকে আসছে ২০ লোকোমোটিভ

আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২২:২২

বাংলাদেশ রেলওয়ের ৭২ শতাংশ ইঞ্জিনের (লোকোমোটিভ) অধিকাংশেরই অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল পেরিয়ে গেছে অনেক আগেই। আবার নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও ৫০ শতাংশ ইঞ্জিনের ওভারহোলিং হয়নি। এছাড়া বেশ কয়েক বছর রেলবহরে যুক্ত হয়নি নতুন কোনো লোকোমোটিভ। যদিও এর মধ্যে যুক্ত হয়েছে ২৭০টি নতুন কোচ। তবে আশার কথা, ইতিমধ্যে ১২০টি ইঞ্জিন কেনার চুক্তি করেছে রেলওয়ে। তবে এসব ইঞ্জিন রেলের বহরে যুক্ত হতে আরো দুই বছর বা তার বেশি সময় লাগতে পারে। আর এ অবস্থায় অন্তর্বর্তীকালীন সংকট মেটাতে খুব দ্রুত সময়ে ভারত থেকে আনা হচ্ছে ২০টি লোকোমোটিভ (এর মধ্যে ১০টি ব্রডগেজ ও ১০টি মিটারগেজ)। এগুলো পাওয়া যাবে বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোফাজ্জল হোসেন। তিনি বলেন, ইঞ্জিনের (লোকোমোটিভ) সংকটে রেলের যাত্রীসেবা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় নতুন ইঞ্জিন দেশে না পৌঁছা পর্যন্ত ভারত থেকে ২০টি ইঞ্জিন আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কয়েক মাস আগে। এ নিয়ে কয়েক দফা চিঠি চালাচালিও হয়েছে। সর্বশেষ গত ৬ আগস্ট রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ভারতের রেলপথ, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী পীযূশ গোয়েলের আমন্ত্রণে একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে ভারত সফর করেন। এ সময় রেলপথমন্ত্রীর সঙ্গে রেল ইঞ্জিনসহ আরো কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় ভারতীয় রেলপথমন্ত্রীর। ভারতীয় রেলপথমন্ত্রী নীতিগতভাবে আমাদের প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন। 

রেলপথসচিব জানান, ‘আশা করা যাচ্ছে, আমরা এক-দুই মাসের মধ্যে ভারত থেকে ২০টি রেল ইঞ্জিন বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে পাব।’ তিনি আরো বলেন, এ ব্যাপারে এখন ডিপ্লোম্যাটিক চ্যানেলে যোগাযোগ চলছে। রেলপথ সচিব মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগামী মাসে ভারত সফরে যাচ্ছেন। আমরা আশা করছি, ঐ সময়েই বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। ’ রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বর্তমানে রেলওয়ের সচল ইঞ্জিন রয়েছে ২৭৩টি। এসব ইঞ্জিন দিয়ে সারাদেশে ৩৪১টি যাত্রীবাহী এবং বেশ কয়েকটি পণ্যবাহী ও তেলবাহী ট্রেন পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রয়োজনের তুলনায় কম ইঞ্জিন থাকায় প্রায়ই সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। ২৭৩টি ইঞ্জিনের মধ্যে আয়ুষ্কাল পেরিয়ে যাওয়া বিশেষ করে ২০ বছরের বেশি বয়সি ১৯৫টি। এগুলোর বয়স ২১ থেকে ৬৫ বছর। মাত্র ৭৮টির আয়ুষ্কাল ২০ বছরের কম। যদিও পুরোনো এসব ইঞ্জিনের মধ্যে ১৩৬টির সময়মতো মেরামত (ওভারহোলিং) করা হয়নি। অথচ প্রতিটি ইঞ্জিন ৩ ও ৬ বছর পর পর হালকা ও মাঝারি মানের ওভারহোলিং করতে হয়। আর ১২ বছর পর করতে হয় ভারী ওভারহোলিং। সময়মতো ওভারহোলিং না করায় ইঞ্জিন বিকলসহ এগুলোর পরিবহন সক্ষমতা কমে যাচ্ছে। ফলে সেবা প্রদান বিঘ্নিত হচ্ছে রেলওয়ের।