বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৩ জনের ফাঁসির আদেশ

আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২১:৫০

রাজশাহীর বাগমারায় আকলিমা বেগম (৪৫) ও তার ছেলে জাহিদ হাসানকে (২৫) গলা কেটে হত্যার মামলায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ তিন জনের ফাঁসি এবং চার জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে রাজশাহী বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। বুধবার দুপুরে ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—নিহত আকলিমা বেগমের দেবর আবুল হোসেন   মাস্টার, দুর্গাপুর উপজেলার আলীপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে হাবিবুর রহমান হাবিব ও দুর্গাপুর উপজেলার দেবীপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে, চাকরিচ্যুত বিজিবি সদস্য আবদুর রাজ্জাক। এদের মধ্যে আবুল হোসেন বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং দেউলা রানী রিভারভিউ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—আব্দুল্লাহ আল কাফি, রুহুল আমিন, রুস্তম আলী এবং মনিরুল ইসলাম ওরফে মনির। এদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরা সবাই ভাড়াটে খুনি হিসেবে এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু বলেন, গত এপ্রিলে আলোচিত মামলাটি জেলা জজ আদালত থেকে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আসে। মোট ৫১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ এবং উভয়পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন বিচারক।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বাগমারার দেউলা গ্রামের নিজ বাড়িতে ২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর রাতে আকলিমা বেগম ও তার ছেলে জাহিদ হাসানকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আকলিমার বড়ো ছেলে দুলাল হোসেন অজ্ঞাত কয়েক জনকে আসামি করে বাগমারা থানায় হত্যামামলা দায়ের করেন।

দুলাল হোসেন জানান, ছোটোবেলায় তার বাবা মারা যাওয়ার পর চাচা আবুল হোসেনই সব সম্পত্তির দেখাশোনা করতেন। দিনে দিনে তারা বড়ো হয়ে ওঠেন। ২০১৪ সালে তার ভাই জাহিদ হাসান রাজশাহী কলেজ থেকে দর্শন বিভাগে মাস্টার্স শেষ করেন। জাহিদ পড়াশোনা শেষ করে চাচার কাছ থেকে সব সম্পত্তি বুঝে নিতে চান। এ নিয়ে চাচার সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এ দ্বন্দ্বের জের ধরে তার মা ও ভাইকে ভাড়াটে খুনি দিয়ে হত্যা করা হয়। এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানান তিনি।