শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

নিম্নমানের সরঞ্জাম ব্যবহারের অভিযোগ

আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০১৯, ২২:৪২

নদীতীরের মানুষের দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর চলতি বছরের শুরুর দিকে কীর্তনখোলা নদীর ভাঙন রোধে ২০৯ কোটি টাকার প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়। ঐ প্রকল্পের অধিন নদীতীরবর্তী চরবাড়িয়া ও লামছরি এলাকার ভাঙন রোধসহ নদীটির গতিপথ ফেরাতে ৪১ লাখ ঘনমিটার বালু উত্তোলনসহ নদী খনন এবং চারদিকে বেষ্টনী দিয়ে নদীর তীরে দুটি ডাইক তৈরির পাশাপাশি ব্লক ও বালুর ব্যাগ দিয়ে ভাঙনকবলিত নদীর তীর বাঁধানোর পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু কাজ শুরুর পর থেকেই এর মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা নিম্নমানের কাজের চিত্র ধারণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। এর আগে সাব ঠিকাদার কর্তৃক নিম্নমানের ব্লক তৈরির বিষয়টির প্রমাণ পেয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য কর্নেল (অব) জাহিদ ফারুক শামীম কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং ব্লক বাতিল করেছিলেন। পরবর্তীতে মানসম্পন্ন কাজের কথা বলা হলেও বাস্তবে তা হচ্ছে নিম্নমানের।

প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম ইত্তেফাককে জানান, এ কাজের প্রতি তার তীক্ষ নজরদারি রয়েছে। নিম্নমানের ব্লক একবার বাতিল করা হয়েছে। ল্যাব টেস্টে উত্তীর্ণ না হলে তা আবারও বাতিল করা হবে।

জানা গেছে, খুলনা শিপইয়ার্ড প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মূল ঠিকাদার হলেও তাদের কাছ থেকে উপচুক্তিতে কনফিডেন্স গ্রুপের কাজ সম্পন্ন করার কথা। কিন্তু বাস্তবে কাজ করছে বরিশালের পৃথক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নদীতীরের বাসিন্দারা জানান, ব্লক তৈরিতে যে সাইজ ও মানের পাথর ব্যবহার করার কথা রয়েছে, তা বাস্তবায়ন করছে না স্থানীয় ঠিকাদার।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, ব্লকের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ৪৫ সেন্টিমিটার এবং পুরুত্ব হবে ৩০ সেন্টিমিটার। এটি তৈরিতে ব্যবহূত হবে উন্নতমানের ভাঙা পাথর, সিলেট চান বালু, ৬ ব্যাগ বালুর সঙ্গে ১ ব্যাগ সিমেন্ট। পাশাপাশি দুটি ডাইক নির্মাণ করার নির্দেশনা রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বালুর সঙ্গে যে পরিমাণ সিমেন্টের মিশ্রণ দেওয়ার নিয়ম রয়েছে, বাস্তবে তা মানা হচ্ছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো প্রকৌশলী না থাকায় ইচ্ছামাফিক কাজ করা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত বিভাগীয় প্রকৌশলী জাভেদ ইকবাল বলেন, জনবল কম থাকায় নজরদারি কিছুটা কম হচ্ছে। তবে বিগত দিনে কাজের মান নিম্ন হওয়ায় বেশ কিছু ব্লক বাতিল করা হয়েছে। বর্তমানে ব্লক তৈরিতে নজরদারি আরো বাড়ানো হবে।