শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

পেনশন পুনঃস্থাপনে অপূর্ণতা

আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ২১:৫১

শতভাগ পেনশন সমর্পণকারীদের পেনশনে ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্যে গঠিত কমিটি যথাযথ মনোযোগ না দেওয়ায় এটি বহুলাংশে অসম্পূর্ণ রয়েছে গেছে। যেমন—প্রথমত, সুপারিশ অনুযায়ী পেনশনে পুনঃস্থাপন কার্যক্রম ১-৭-২০১৭ থেকে কার্যকর হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন জারি হয় ৮-১০-২০১৮ তারিখে। হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয় এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তা বাস্তবায়ন হতে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি ‘১৯ ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু ১ জুলাই ১৭ থেকে এই সময়ের মধ্যে যাঁরা যোগ্যতা অর্জন করেছেন কিন্তু পুনঃস্থাপনের আগে মারা গেছেন, তাঁদের এবং তাঁদের পরিবারের পেনশনের কথা বলা হয়নি। ফলে তাঁরা পেনশন পাচ্ছেন না। দ্বিতীয়ত, একজন পেনশন সমর্পণকারী অবসরের ১৫ বছর পর পেনশনে পুনঃস্থাপন হবেন। এই সময়ের মধ্যে  তিনি মারা গেলে তাঁর অবসরের ১৫ বছর পর বিধবা স্ত্রী বা বিপত্নীক স্বামী পেনশন পাবেন কি না তা সুপারিশে নাই। তৃতীয়ত, পেনশনে পুনঃস্থাপনের পর মৃত্যুর ক্ষেত্রে পরিবার পেনশন পাবেন কি না বলা ছিল না।  হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের সুপারিশে সম্প্রতি এ বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চতুর্থত, সুপারিশে পেনশন নির্ধারণের একটি  উদাহরণ দেওয়া হয়েছে, যেখানে ১ জুলাই ২০১৭ তারিখে এক ব্যক্তির যে পেনশন ধার্য করা হয়েছে, তা ১ জুলাই ২০১৫ থেকেই তাঁর প্রাপ্য ছিল। কমিটি জুলাই ১৭ থেকে নতুন প্রচলিত ৫ শতাংশ বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট যোগ করতে ভুলে গেছেন। পঞ্চম এবং সর্বশেষ অসঙ্গতি পেনশনে পুনঃস্থাপনের সময়সীমা সবার জন্য পাইকারি হারে অবসরের পর ১৫ বছর ধার্য করা। ষষ্ঠ জাতীয় বেতন স্কেল পর্যন্ত  অবসরপ্রাপ্তদের জন্য এই সময়সীমা ১২ বছর ধার্য করা যুক্তিসঙ্গত ছিল। এ ব্যাপারে সরকারের সংশি­ষ্ট সকল মহলের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

ওয়াহিদুল ইসলাম আখন্দ

অবসরপ্রাপ্ত  সহকারী মহাব্যবস্থাপক, অগ্রণী ব্যাংক

সেনপাড়া-পর্বতা, ঢাকা