শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মুক্তিযোদ্ধা এসপি আবদুল হাকিমের পরিবারের খোঁজ মেলেনি

আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০১৯, ২১:৩২

মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের একজন অগ্রসৈনিক নোয়াখালীর তত্কালীন এসপি আবদুল হাকিম। দেশপ্রেমিক এ পুলিশ কর্মকর্তা দেশের জন্য জীবন উত্সর্গ করেছেন।  ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে তিনি পাকহানাদার বাহিনীর হাতে নির্মম নির্যাতন সয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর অপরাধ ছিল নোয়াখালী পুলিশলাইনের অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র দিয়ে ছাত্র-জনতা ও শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। পাকবাহিনী নোয়াখালী দখলের পর এ অপরাধে তাঁকে শারীরিক নির্যাতন করে কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করা হয়। ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নিরস্ত্র-নিরীহ মানুষের ওপর নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালানোর দু’দিন পর নোয়াখালী জেলা সংগ্রাম কমিটির নেতাদের সঙ্গে তিনি ও তত্কালীন ডিসি মঞ্জুরুল করিম নোয়াখালী সার্কিট হাউজে এক বৈঠক করেন। এ সময় জেলা প্রশাসনের শীর্ষ এ দুই কর্মকর্তা পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। সেই প্রতিশ্রুতিতে স্বাধীনতার সপক্ষে তিনি ও ডিসি কাজও করেছিলেন।

নোয়াখালীর প্রবীণ রাজনীতিবিদ অধ্যাপক মোহাম্মদ হানিফ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বহুবার শহিদের পরিবারের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। স্বাধীনতার ৪৯ বছর পেরিয়ে গেলেও তাঁর পরিবারের সদস্যরা কোথায় আছেন তা রাষ্ট্র বা পুলিশ বিভাগের কাছে এখনো অজানা।

শহিদ মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাকিম ১৯১৯ সালের ১ জুলাই মুর্শিদাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি  ছিলেন মনেপ্রাণে বাঙালি। ১৯৪১ সালের ২ জানুয়ারি পুলিশ বিভাগে যোগ দেন। কর্মরত অবস্থায় সপরিবারে ঢাকায় বসবাস করতে শুরু করেন। তাঁর পরিবারের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাঁর স্মরণে নোয়াখালী জেলা পুলিশলাইনে ‘এসপি আবদুল হাকিম পাঠাগার’ স্থাপন করা হয়েছে। জেলার বর্তমান পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন এসপি আবদুল হাকিমের পরিবারের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

আলমগীর ইউসুফ

নোয়াখালী