নির্বাক শিশুকে সবাক করাই উদ্দেশ্য এবং বধির অর্থ মূক নয়। উপযুক্ত সহায়তা পেলে সেও কথা বলবে—এমন স্লোগানকে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল হাইকেয়ার স্কুল বানারীপাড়া। বধির শিশুদের কথা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৪ সালে। উপজেলা পর্যায়ে প্রথম হাইকেয়ার স্কুল এটি। বন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষানুরাগী আ. হাই বখশ এই স্কুল প্রতিষ্ঠার পেছনে ভূমিকা রাখেন। তারপর কয়েক যুগ কেটে গেছে। স্কুলটি সরকারি অনুমোদন পায়নি। ব্যক্তির অনুদানে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। চারজন শিক্ষক এবং একজন আয়া কর্মরত আছেন। তাঁদের বেতনভাতা অত্যন্ত কম। ছাত্রছাত্রীদের হিয়ারিং এইডসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নেই। এভাবে স্কুলটি কতদিন চলতে পারবে কে জানে। স্কুলটি বন্ধ হয়ে গেলে গ্রাম-গঞ্জের বধিররা কথা শেখা থেকে বঞ্চিত হবে।
দীর্ঘদিনের দাবি, শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধীদের কথা শেখানোর প্রতিষ্ঠানগুলোকে অ্যাপিলেশন ঘোষণার। দেশে বর্তমানে ২.৬% বাক শ্রবণ প্রতিবন্ধী। বাংলাদেশের সব ক’টি হাইকেয়ার স্কুল ধুঁকেধুঁকে চলছে। কেবল অ্যাপিলেশনের ঘোষণায় স্কুলগুলো বেঁচে যেতে পারে। প্রয়োজনীয় সহায়তা পেলে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীরাও কথা বলতে পারে। তাই সব কয়টি হাইকেয়ার স্কুলকে অ্যাপিলেশন দেওয়ার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
বানারীপাড়া, বরিশাল