গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার সূত্রাপুর ইউনিয়নসহ আশেপাশের ইউনিয়নে ছোট-বড় বিভিন্ন শিল্প-কারখানা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এসব এলাকায় তীব্র লোডশেডিং বিরাজ করলেও বর্তমানে তা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। যদিও চাহিদার বিপরীতে বর্তমানে প্রতিদিন ১২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদন হচ্ছে। এ সরকারের আমলে সারা দেশে বিদ্যুত্ব্যবস্থার উন্নয়ন হলেও এর সুফল এখানকার লোকজন ভোগ করতে পারছে না। এবং এ উপজেলার বিদ্যুত্ বিতরণ বা সরবরাহ ব্যবস্থা কী কারণে এত নাজুক তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরিভিত্তিতে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এখানে বছরের পর বছর ধরে লাইন সংস্কারের নামে মাঝেমধ্যেই সারা দিন বিদ্যুত্ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। অন্যদিকে আকাশে মেঘ জমলেই বিদ্যুত্ বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং সামান্য বৃষ্টিতেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুিবহীন থাকা এক ধরনের নিয়মে পরিণত হয়েছে। আর ঝড়-বৃষ্টি হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুত্ পাওয়ার আশা করাই যায় না। এছাড়া দিনের বেলায় অসংখ্যবার বিদ্যুতের যাওয়া-আসা চলতে থাকে। বিশেষ করে বিকাল থেকেই বিদ্যুতের যাওয়া-আসা শুরু হয়ে চলে প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত। কোনো সময় কয়েক মিনিটও স্থায়ী হয় না। দিনের নির্দিষ্ট একটা সময়ে অথবা যে কোনো সময়ে ২/১ ঘণ্টা বিদ্যুত্ না থাকাকে লোডশেডিং বলা যেতে পারে। কিন্তু এটাকে কী বলা যায়? আর বিতরণ লাইনে গোলযোগ থাকলে সমাধান করা হচ্ছে না কেন? প্রচারণা অনুযায়ী শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলায় এ ধরনের বিদ্যুত্ বিভ্রাটের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে লেখাপড়ায়, কলকারখানায়, ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি সর্বত্র। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, লোডশেডিং কমিয়ে বিদ্যুতের ভেল্কিবাজি বন্ধ করুন।
মো. আমিনুল হক
এক্সিকিউটিভ, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল্্স লিমিটেড,
বোর্ডঘর, কালিয়াকৈর, গাজীপুর
০