শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রাজউক উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পের সমস্যা

আপডেট : ২০ আগস্ট ২০১৯, ২১:১৭

রাজউক উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্প বাস্তবায়নে দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে না পারায় অনেক সমস্যা নিয়ে বসবাস করেছেন এখানকার ফ্ল্যাট মালিকগণ। এখানে মশার যন্ত্রণা থেকে যেন মুক্তি নেই। যদিও উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে মশার ওষুধ ছিটানো হয়েছে, তবে তা পর্যাপ্ত নয়। ফলে ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়ার আতঙ্ক নিয়েই আমরা বসবাস করছি। ইদানীং মাছির উপদ্রবও বেড়েছে, যেখান থেকে ছড়াচ্ছে নানা অসুখ-বিসুখ।

ছিনতাইকারী ও চোর-ডাকাতের উত্পাত এই এলাকায় নতুন নয়। সম্প্রতি আমাদের দোলনচাঁপা ভবনে পার্কিং এরিয়া থেকে গাড়ি চুরির চেষ্টা চলে। দুই চোর এখন শ্রীঘরে। অত্যাধুনিক এই আবাসিক এলাকায় গরু-ছাগল ইচ্ছেমতো চরে বেড়ায়। আমার আট বছরের বয়সী নাতনি ইপ্সিতা নিজের হাতে আমাদের ভবনের সামনে একটি কদম ফুলের চারা লাগিয়েছিল শখ করে। চারাগাছটির ঘন-সবুজ বড় বড় পাতাগুলি আকাশপানে চেয়ে থাকত। বাতাসে দোল খেত। কিন্তু বেরসিক এক গরু চারাগাছটির আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত খেয়ে ফেলেছে।

প্রকল্প এলাকায় ৭৯টি ভবনের অধিকাংশই নির্মিত হলেও এখনো নাগরিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা নেই। স্কুল-কলেজ, মসজিদ, কমিউনিটি সেন্টার, জিমনেসিয়াম, সুপার-শপ, হাসপাতাল নির্মিত হয়নি। বিশেষ করে নাতিদের লেখাপড়া নিয়ে বিপদে আছি। কেননা স্কুল কবে চালু হবে তার খবর নেই।  উত্তরা ১২ নম্বর খালপাড় থেকে প্রকল্প এলাকায় রাত্রিবেলা যাতায়াত করা যায় না ছিনতাইকারীর দৌরাত্ম্যে। যাঁরা এই সময় অফিস থেকে বাসায় ফেরেন তাঁরা বহু কষ্টে আছেন। তাঁদের আবদুল্লাহপুর ভায়া মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে ঘুরে আসতে হয়। এ অবস্থায়, প্রকল্পের মেয়াদ পর্যন্ত অবশিষ্ট কিস্তি সুদমুক্তভাবে প্রদানের সুযোগ দিতে রাজউকের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাই।

আলহাজ অধ্যাপক মো. সাইদুর রহমান

দোলনচাঁপা, রাজউক উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্প,

সেক্টর ১৮, উত্তরা, ঢাকা