শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড ও জনদুর্ভোগ

আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২১:০৪

ত্রিশালের ওপর দিয়ে প্রতিদিন ঢাকা ও ময়মনসিংহগামী শত শত বাস চলাচল করে। ত্রিশালে কোনো স্থায়ী বাসস্ট্যান্ড নেই। সরকারি নজরুল কলেজ সংলগ্ন দরিরামপুর চার রাস্তার মোড় বহুদিন ধরেই বাসস্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহূত হয়ে আসছে। এ চার রাস্তার মোড়ে ঢাকাগামী ও ময়মনসিংহগামী বাস থামে। যাত্রীরাও উঠানামা করেন। আবার ত্রিশাল থেকে ময়মনসিংহগামী প্রায় পঞ্চাশের অধিক শালবন নামের লোকাল বাস ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডের ওপর সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকে। কাছেই ত্রিশাল বালিপাড়া সিএনজি স্টেশন। এখান থেকেও শতাধিক সিএনজি চলাচল করে। ত্রিশাল-ময়মনসিংহ সিএনজি স্টেশনও গড়ে উঠেছে ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন মহাসড়কের ওপর। এসব কারণে প্রতিদিনই অসহনীয় যানজটের সৃষ্টি হয় ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের ত্রিশাল অংশে। শত শত বাস—মিনিবাস দাঁড়িয়ে থাকে দীর্ঘ সময়। গরমে অস্থির হয়ে ওঠেন যাত্রীগণ। অনেক সময় জরুরি রোগী পরিবহনের অ্যাম্বুলেন্সও আটকা পড়ে যানজটে। ঘটে সড়ক দুর্ঘটনা। যানজট কখনো দরিরামপুর পার হয়ে ত্রিশাল পৌরসভা পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করে। তখন ত্রিশাল পৌরবাসী ও যাত্রীসাধারণের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। ঈদের আগে ও পরে এই যানজট অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে। অভিজ্ঞ মহলের মতে, এই দুর্ভোগ নিরসনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে সামান্য দূরে নিরাপদ স্থানে ত্রিশাল-ময়মনসিংহ বাসস্ট্যান্ড স্থাপন করা প্রয়োজন। পাশাপাশি ত্রিশাল-বালিপাড়া সিএনজি স্টেশনটিও অন্যস্থানে সরিয়ে নেওয়া দরকার। এতে যানজট অনেকটা কমবে এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকিও হ্রাস পাবে এবং জনদুর্ভোগেরও অবসান হবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

নিতাই চন্দ্র রায়

৪৫/১ হিন্দু পল্লী রোড,

ত্রিশাল পৌরসভা, ময়মনসিংহ