চাকরিকালে জিপিএফ (জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড), সিপিএফ (কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড)-এর সদস্য নির্বিশেষে উত্সবভাতা, মাসিক চিকিত্সাভাতা ও বাংলা নববর্ষভাতা প্রচলনের তারিখ থেকে সকলেই পেয়ে আসছেন। অবসর গ্রহণের পর সবাই এসব ভাতা পেলেও সিপিএফভুক্তদের এতোকাল কোনো ভাতা দেওয়া হতো না। যদিও প্রভিডেন্ট ফান্ডে কন্ট্রিবিউশনের সঙ্গে এইসব ভাতার কোনো সম্পর্ক নেই। থাকলে চাকরিকালেই তাঁরা এসব পেতেন না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের ২৫-৩-২০১৯ তারিখের এক ছাড়পত্রের (ক্লিয়ারেন্স) কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জুলাই ২০১৭ থেকে এসব ভাতা দিচ্ছে। তাদের দেখাদেখি প্রথমে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক ও পরে অগ্রণী ব্যাংক নিজ নিজ পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনক্রমে তাদের প্রতিষ্ঠানের অবসরপ্রাপ্ত সিপিএফভুক্তদের মাসিক চিকিত্সাভাতা, উত্সবভাতা ও বাংলা নববর্ষভাতা প্রদান শুরু করে। কিন্তু বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো হঠাত্ কোনো কারণ দর্শানো এবং লিখিত বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগেই বলেছি, প্রভিডেন্ট ফান্ডের সদস্যভুক্তির সঙ্গে এসব ভাতাপ্রাপ্তির কোনো সম্পর্ক নেই। তাহলে কেন অবসরপ্রাপ্ত সিপিএফভুক্তদের এতকাল এসব ভাতা দেওয়া হয়নি এবং এখন অনুমোদন দেওয়ার পরপরই কী কারণে তা স্থগিত করা হলো তার জবাব কে দেবে? বিষয়টির প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সকল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ওয়াহিদুল ইসলাম আখন্দ
অবসরপ্রাপ্ত সহকারী মহাব্যবস্থাপক, অগ্রণী ব্যাংক;
৫৭০/১-বি, সেনপাড়া-পর্বতা, ঢাকা ১২১৬